× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘দায়’ এড়ালেন না সিলেটের নেতারা, আওয়ামী লীগে কোন্দল

এক্সক্লুসিভ

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার

‘দায়’ এড়ালেন না সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা। কেন্দ্রের কাছেও তারা ‘দায়’ স্বীকার করে নিয়েছেন। যেহেতু তারা দায়িত্বে থেকে কাজ করেছেন ব্যর্থতার দায়ও তারা নিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামীতে আরো সতর্ক হয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর কথাও জানিয়েছেন তারা। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শোকজের জবাবে সিলেট আওয়ামী লীগের তিন নেতা কেন্দ্রের কাছে এসব কথা জানিয়েছেন। এদিকে- কেন্দ্রের নির্দেশে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ শিগগিরই স্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের কথা কেন্দ্রের কাছে জানিয়েছেন। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য ৩ শীর্ষ নেতাকে শোকজ করেছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর। নেতারা জানিয়েছেন- ‘দায়’ এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
যেহেতু দলীয় প্রার্থী হেরেছেন সে কারণে দায়িত্বশীল থাকার কারণে দায় তো নিতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে সবাই আরো সতর্ক থাকি সে বিষয়টি এরই মধ্যে তারা চিন্তায় এনেছেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়ের টার্গেট নিয়ে সিলেট আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকবে বলে জানান তারা। ৩০শে জুলাই সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে প্রায় ৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। কামরানের এই পরাজয়ে সিলেট আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব ও অবিশ্বাসের বিষয়টি প্রকাশ পায়। এতে করে তৃণমূলের নেতাদের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন সিনিয়র নেতারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো এ নিয়ে ঝড় ওঠে। ওলট-পালট করে দেয় সিলেট আওয়ামী লীগকে। দোষারূপের রাজনীতিসহ অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়টি আওয়ামী লীগের কেন্দ্র পর্যন্ত নাড়া দেয়। পরাজয়ের পর সিলেট আওয়ামী লীগ সম্পর্কে নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় কমিটিও। নির্বাচন নিয়ে উঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩০শে আগস্ট নিজ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সিলেটে সফর করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সার্কিট হাউসে তিনি সিলেটের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেও তৃণমূলের নেতারা সিটি নির্বাচনে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন। গত ১০ই সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিনজনের শোকজপত্র সিলেটে পাঠানো হয়। ১১ই সেপ্টেম্বর সিলেটে
এসে শোকজের কপি পৌঁছে। সিলেটের নেতারা জানিয়েছেন- ইতিমধ্যে তারা কেন্দ্রের শোকজের জবাব পাঠিয়ে দিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে তারা এই জবাব পাঠান। শোকজের উত্তরে তারা ‘দায়’ স্বীকার করে আগামীতে ঐক্য সুদৃঢ় রাখার কথা জানিয়েছেন। শোকজের জবাবে এক আওয়ামী লীগ নেতা মানবজমিনকে জানিয়েছেন- যেহেতু শোকজটি দল থেকে দেয়া এ কারণে উত্তর কী দেয়া হয়েছে সেটি বলা উচিত নয়। এরপরও আমরা দায় এড়াতে পারি না। দায় স্বীকার করতে হবেই। আর এই দায় স্বীকার করে আগামীতে ঐক্য ধরে রাখার চেষ্টায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন ওই নেতা। এদিকে- কেন্দ্রের 
পত্রের জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট মহানগরের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। তিনি গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন- আমার কাছে যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল, আমি সেটি জানিয়ে জবাব পাঠিয়ে দিয়েছি। কামরান বলেন- সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দিন ধরে নগরীর সুবহানী ঘাটের ইব্রাহিম স্মৃতি সংসদকে আওয়ামী লীগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছে। সেটি এখন থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের স্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হবে। দলের কার্যালয় খুব শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর