মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পরিধি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে আইসিসি। প্রথম ধাপেই চ্যাম্পিয়ন্সশিপে দল বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটির। এতদিন ৮ দলের আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের। তবে, আগামী মাসের বোর্ড সভায় এই টুর্নামেন্ট ১০টি দলকে নিয়ে আয়োজনের ব্যাপারে আলোচনা করবে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেই আলোচনায় ইতিবাচক কিছু হলে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার জোরালো সম্ভাবনা।
গত জুনে ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই টুর্নামেন্টে ফাইনালসহ দুবার ভারত আর পাকিস্তান একবার হার মেনেছিল সালমা-রুমানাদের কাছে। দিন দিন পারফরমেন্সের উন্নতি হলেও বড় দলগুলোর মুখোমুখি হতে অনেক অপেক্ষা করতে হয় মেয়েদের।
যা নিয়ে ভীষণ হতাশ বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক রুমানা আহমেদ, ‘র্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে থাকার পরও আমাদের খেলার জন্য সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে হয়। এটা সত্যিই বেদনাদায়ক। সেরা আটে থাকা ভারত-পাকিস্তান সারা বছর আইসিসি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সুযোগ পায়। অথচ নবম স্থানে থেকেও আমরা সুযোগ পাচ্ছি না। তার মানে আমাদের দলটা যথেষ্ট ভালো নয়।’ নবম ও দশম স্থানে থাকা বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড এই টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাবে কি না তা বোঝা যাবে আগামী মাসের সভার পর। এ প্রসঙ্গে আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যালারডাইস বলেন, ‘কাগজে-কলমে বিষয়টা লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। আমরা অক্টোবরের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করবো।’ আইসিসির এই কর্মকর্তা বাংলাদেশের মেয়েদের প্রশংসা করে বলেন, ‘সামপ্রতিক সময়ে মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। তারা ধীরে ধীরে শক্তিশালী দলে পরিণত হচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নতির জন্য সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’ যদিও আইসিসির এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কিছুই জানে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। গতকাল মুঠোফোনে তিনি মানবজমিনকে বলেন, আইসিসির এমন কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমরা অবগত নই। বিষয়টি জানলে আমরা আপনাদের জানাবো। বিসিবি না জানলেও বিষয়টি বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের জন্য সুখবর বলছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা।