রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক শিশু ও নারীর মৃত্যু হয়েছে। অপর আরেক ঘটনায় ট্রেনে কাটা পড়ে পা হারিয়েছে এক কিশোর। কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় পা হারানো ওই কিশোরের নাম রিপন মিয়া (১৫)। তার ডান পায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। গতকাল বিকাল তিনটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রিপন টোকাইয়ের কাজ করে। ঘটনার আগে সে রেললাইনের পাশে ঘুমিয়ে ছিল।
এ সময় মালবাহী একটি ট্রেনের নিচে তার দুই পা পড়ে যায়। এতে তার বাম পায়ের গোড়ালির ওপর থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর ডান পায়ের অবস্থাও বেশ গুরুতর। ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, এরকম একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদিকে রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল সকাল ১০টার দিকে তেজগাঁও এলাকায় টঙ্গীগামী একটি ট্র্রেনের ধাক্কায় আহত হয় ৫ বছর বয়সী পলক নামের এক শিশু। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশুর নানি হেনা বেগম সকালে নাতনি পলককে নিয়ে তিনি তেজগাঁও রেললাইন এলাকার ফকিন্নি বাজারে যান। রেললাইনের পাশে পলককে দাঁড় করিয়ে তিনি বাজারের ভেতর যান। কিছুক্ষণ পরে লোকজনের হৈচৈ শুনে রেললাইনের কাছে এসে দেখেন পলকের দুই পা থেঁতলানো ও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত অবস্থায় পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত পলক তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকার কালাম বস্তির পারভেজের মেয়ে। এছাড়া রাজধানীর বনানী সৈনিক ক্লাব এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় (৫৫) এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সকালে সৈনিক ক্লাব রেলগেটের দক্ষিণ পাশে রেলক্রসিং পার হচ্ছিলেন ওই নারী। এ সময় বিমানবন্দরগামী একটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওই নারীর পরনে সবুজ ও হালকা বেগুনী রঙের শাড়ি ছিল। ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিন ফারুক মজুমদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।