× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পোশাক খাতে শ্রম অধিকার নিশ্চিতই বড় চ্যালেঞ্জ: বার্নিকাট

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা সংস্কারের পর এখন শ্রম অধিকার নিশ্চিত করাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট। তিনি বলেন, শ্রম অধিকারের বিষয়টি বাস্তবায়নে দেরি করলে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট হবে, বিদেশি ক্রেতাদের অন্যত্র ঝুঁকে পড়ার হুমকি তৈরি হবে। গতকাল বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত বিদায়ী সংবর্ধনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। বার্নিকাট বলেন, সামপ্রতিক বছরগুলোতে এ বিষয়ে কাজের অগ্রগতি শ্লথ হয়ে গেছে। ক্রেতারা পণ্য ক্রয়ের বিষয়ে শ্রম অধিকারের ইস্যুটি বেশি বিবেচনায় নিচ্ছে। এ জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম আইনগুলো মেনে চলা জরুরি। তিনি বলেন, এটা শুধু সঠিক কাজই নয়, বুদ্ধিদীপ্ত কাজও বটে। দ্রুত সম্ভব এই বিষয়ে আইনগত পরিবর্তন আনা জরুরি।
বিষয়টি দীর্ঘায়িত করলে তৈরি পোশাক খাতের কোনো লাভ হবে না। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পাশাপাশি কার্যকর করলে বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা বাড়বে। বিশ্ব বাজারে তৈরি পোশাকের অংশ বিস্তৃত করতেও সহায়ক হবে। বার্নিকাট বলেন, ২০১৩ সাল থেকে অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে তৈরি পোশাক খাতে বিশাল সংস্কার আনা সম্ভব হয়েছে। এখন বিশ্ব নিরাপদ কারখানাগুলোর মধ্যে চলে এসেছে বাংলাদেশ। শ্রম অধিকার নিশ্চিত করা সামনের দিনে তৈরি পোশাক খাতের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় কর্ম পরিকল্পনার আওতায় কারখানাগুলোর সংস্কার কাজ শেষ করা ও সংস্কারে অর্জিত অগ্রগতি বজায় রাখা দরকার। অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের সহায়তায় বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে কর্মপরিবেশের উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে এই ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান বার্নিকাট। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কারখানাগুলো এখন বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ কারখানাগুলোর মধ্যে পড়ে। পরিবর্তনের এই সময়ের বড় অংশজুড়ে আমি এই দেশে ছিলাম বলে নিজ চোখে এই পরিবর্তন দেখেছি। এটা ছিল খুবই ব্যয়বহুল ও কঠিন কাজ। তবে আত্মতৃপ্তিতে না থেকে এর সুফল বহুদিন ধরে রাখতে হবে। অনুষ্ঠানে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল রাখার আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া পর্যন্ত মার্শা বার্নিকাট সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন বলেও প্রত্যাশা করি। অনুষ্ঠানে বার্নিকাটের হাতে সেলাই মেশিনের আদলে তৈরি একটি সোনালি রঙের ক্রেস্ট উপহার দেন বিজিএমইএ নেতারা। পরে তার জন্য নির্ধারিত লালগালিচায় গিয়ে গ্রুপ ছবি তোলেন তারা। বিজিএমইএ নেতা ফারুক হাসান ও মো. নাসির প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর