× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফারমার্স ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার

ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক এমডি একেএম শামীমসহ ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ব্যাংকটির চার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় আজ বুধবার তাদের রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবালের সই করা চিঠিতে তাদের তলব করা হয়েছে। এর আগে টাঙ্গাইলের স্কুলশিক্ষক মো. শাহজাহান ও কৃষক নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে তলব করেছিল দুদক। এই দুজন দুই কোটি করে চার কোটি টাকা ঋণ নেন বেসরকারি ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে। পরে দুটি ঋণ অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে পাঠানো হয় সোনালী ব্যাংকের হাইকোর্ট শাখায় থাকা ‘রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’র ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। সূত্র জানায়, রাষ্ট্রের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এ ঘটনায় গত ৬ই মে দুদকের কর্মকর্তারা এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ফারমার্স ব্যাংক থেকে দুই কোটি টাকা করে ঋণ নিয়েছিলাম। সেজন্য আমাদের ডেকেছিল (দুদক)। আমরা ফারমার্স ব্যাংক গুলশান শাখা থেকে লোন নিয়ে রঞ্জিত বাবুকে দিয়েছি। রঞ্জিত বাবু আমার ফ্রেন্ড। রঞ্জিত বাবুকে আমি টাকা দিয়েছি। উনি এই টাকা কাকে দিয়েছেন, আমি জানি না। আমি রঞ্জিত বাবুর জমি মর্টগেজ রেখেছি। নিজেকে রঞ্জিত বাবুর ভাতিজা পরিচয় দিয়ে নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা বলেন, রঞ্জিত বাবু আমার চাচা। উনি আমাকে বলছেন, আমি লোন তুলে দিয়েছি। আমি কৃষিকাজ করি। এর বেশি কিছু জানি না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি শান্তি রায় নামের এক নারীর কাছে বিক্রি করেন ‘রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’। শান্তি রায়ের স্বামী রঞ্জিত সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ব্যক্তিগত সহকারী। ওই বাড়ি কেনার টাকা পরিশোধের জন্য রঞ্জিতের জমি মর্টগেজ রেখে শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা চার কোটি টাকা ঋণ নেন। আর এই ঋণের টাকা দুটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয়। তবে দুদক সূত্রে জানা গেছে, জমি মর্টগেজ রেখে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হলেও ঋণ দেয়ার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম রয়েছে। কোন উদ্দেশ্যে এই অনিয়ম করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে বন্ধু ও চাচা রঞ্জিতের কথায় রঞ্জিতেরই জমি মর্টগেজ রেখে কেন শাহজাহান ও নিরঞ্জন ঋণ নিয়েছেন, তাও তদন্ত করা হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর