× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রূপগঞ্জে প্রসূতির ওপর হামলা, যমজ শিশুর মৃত্যু

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বাড়ির সীমানা নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে এক প্রসূতির ওপর হামলা চালিয়েছে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ও তার ছেলে। হামলাকারীরা গর্ভবতী মহিলাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গর্ভের দু’সন্তান নষ্ট করে দেয়। হামলাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ঘটনায় মামলা নিতেও অনীহা প্রকাশ করেছে পুলিশ। উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের ভোলাব গ্রামে এ   ঘটনা ঘটে।

উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের ভোলাব গ্রামের রিকশাচালক শরফতুল্লাহ জানান, চলতি মাসের ৫ই সেপ্টেম্বর তার প্রতিবেশী ও ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও ভোলাব গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী সাজেদা বেগম তার বাড়ির সীমানাজুড়ে প্রাচীর নির্মাণ করতে থাকে। এতে শরফতুল্লাহ বাধা দেয়ায় সাজেদা ও তার ছেলে মোরশেদ লাঠিসোটা নিয়ে তাকে পেটানো শুরু করে। এ সময় তার বাড়িতে বেড়াতে আসা তার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছোট মেয়ে শামীমা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তার ওপরও হামলা করে। এ সময় মহিলা ইউপি সদস্য তার চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে নিয়ে যায়।

পরে তার ছেলে মোরশেদ লাঠি দিয়ে শামীমার পেটে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এ সময় সে ব্যথায় সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে।
পরে আর্থিক অনটনের কারণে সুচিকিৎসা না করে স্থানীয় একটি ওষুধের দোকান থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করে। চলতি মাসের ১৯ তারিখ তার অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন তাকে গাজীপুরের কালীগঞ্জের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হন শামীমার পেটে দুটি যমজ সন্তান এবং আঘাতের ফলে দুটি সন্তানই মৃত্যুবরণ করেছে। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসকগণ শামীমার পেট থেকে ৮ মাসের দুই মৃত সন্তানকে বের করে আনেন।
এদিকে গত সোমবার এই ঘটনায় শরফতুল্লাহ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে কর্তব্যরত অফিসার মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করেন।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, এত বড় ঘটনার অভিযোগ পুলিশ নিবে না এটা অস্বাভাবিক ঘটনা। ভিকটিম কিংবা তার পরিবারের যেকোনো সদস্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর