বিএনপি’র আন্দোলন এখন কারাগারে খালেদা জিয়ার ভ্যানেটি ব্যাগে। খালেদা জিয়া এত এমপি-মন্ত্রী বানিয়েছেন কিন্তু তার নেতারা এসি রুমে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখেন। বিএনপি’র আন্দোলন করবেন রোজার ঈদ, আবার বলেন- কোরবানির ঈদ। এভাবে গেলো ১০ বছর মানুষ বাঁচে কয় বছর। বিএনপি মহাসচিব জাতিসংঘের মহাসচিবের নাম বিক্রি করে বাংলার মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করেছে। বিএনপি’র মরাগাঙ্গে আর কোনোদিন জোয়ার আসবে না।
তাদের হাতে গণতন্ত্র ও দেশ নিরাপদ নয়। তারা দেশ-বিদেশে নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে।
তারা ২২ বছরে ২২ হাজার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন দলের সমন্বয়ে গঠিত যুক্তফ্রন্ট এখন পাঁচ মিশালিতে পরিণত হয়েছে। তাদের প্রতি জনগণের আস্থা নেই। তিনি বিএনপিসহ এসব দলের নেতার প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন- ত্রিশ দল, বিশ দল ও দশ দলের বর্তমান নেতা কে বিএনপি’র কাছে জানতে চাই। কার নির্দেশে দল চলবে কার র্নিদেশে আন্দোলন চলবে তার কোনো ঠিক নেই।
আবার আসলে হাওয়া ভবন খাওয়া ভবন হবে। বিএনপি একেবারেই ঘরে ঢুকে গেছে? বিএনপি’র কেন্দ্রিয় নেতা মওদুদ আহমদরা গণতন্ত্রের জন্য কাঁদেন ৮৬’র সংসদে তিনি উপ-রাষ্ট্রপতি হলে শূন্য পদে কোম্পানীগঞ্জে তার স্ত্রী হাসনা মওদুদকে ব্যালট কাটিয়ে এক লাখ ২৮ হাজার ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে মাত্র ৩০ হাজার ভোট দিয়ে জামানত খেয়েছেন। এখন কি অতীত ভুলে গেছেন? মওদুদ সাহেব ২২ বছর রাজত্ব করেছেন। আর ওই চিন্তার স্বপ্ন দেখলে ভুল করবেন। মাঝে-মধ্যে তিনি এলাকায় এসে মামলার আসামিদের সঙ্গে নিয়ে হাঁটলে পুলিশ ধরলে নাটক করেন। সেদিন আর ফিরে আসবে না।
মওদুদ গুলশানের ৫৯ নম্বর বাড়ি মরা মানুষকে জিন্দা দেখিয়ে ভুয়া জাল দলিল সৃজন করায় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ট্রেন, সড়কের পর নৌ-যাত্রা করবো যে কেন্দ্রে নৌকার ভোট কম পাবে সে নেতাকে কর্মীরা বাদ দিয়ে দিবে। ১০০% বিদ্যুতায়নের পর আগামী মার্চ মাসে ঘরে ঘরে গ্যাস দেয়া হবে। পার্শ্ববর্তী বন্ধুপ্রতিম ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে ছিটমহল, সমুদ্র বিজয় ও মহাকাশে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে যুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আমাদের আবার মেজরিটি পেতে হবে নচেৎ খবর আছে। প্রসঙ্গ এনে তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা কবির হাটের সুন্দলপুর গ্রামে ও কোম্পানীগঞ্জে চরকাঁকড়া বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নতুনবাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- একরামুল করিম চৌধুরী ও কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মমিন বিএসসি, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন রুমি, সেক্রেটারি ও মেয়র জহিরুল হক রায়হান, সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু প্রমুখ নেতৃবৃন্দু। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত এ সমাবেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যোগ দেন।
এদিকে কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নে নতুনবাজার হাইস্কুল মাঠে প্রথম নির্বাচনী জনসভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। এখন আর নামাজের সময়, অফিস আদালতে লোডশেডিং হয় না। আর একটি বড় কাজ বাকি আছে সেটা হলো গ্যাসের সমস্যা।
এ এলাকায় গ্যাসের সার্ভে করা হচ্ছে। আগামী বার ক্ষমতায় এলে প্রতিটি ঘরে ঘরে গ্যাস পৌঁছে দেয়া হবে। শেখ হাসিনার মন আকাশের মতো বিশাল। চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী শফিউল্যাহর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. শাহাব উদ্দীন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বাদল, নোয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হাজী খিজির হায়াত খান, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, বাংলাদেশ স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল করিম জুয়েল, মাহবুবুর রহমান আরিফ, আনিছুল হক, শাহাদাত হোসেন, মহিন উদ্দিন পলাশ প্রমুখ।