স্বল্প সুদে সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহঋণ দিতে রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচবিএফসি) সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট ও সামষ্টিক অর্থনীতি) জাফর উদ্দিন এবং বাস্তবায়নকারী পাঁচ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আবাসন আমাদের নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আমরা খাদ্যে ভালো অবস্থানে আছি, শিক্ষার ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছি। স্বাস্থ্য খাতে খুব বেশি স্বীকৃত না হলেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে কমিউনিটি হাসপাতালগুলোর মাধ্যমে। আবাসনে অনেক পিছিয়ে থাকার কথা স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন আবাসনে জোর দেয়া হচ্ছে। আবাসন ১০০ শতাংশ করতে সময় লাগবে। এখন দেশে ৬০ শতাংশের আবাসন আছে বাকিরা ঝুপড়ি-টুপড়িতে থাকে।
তবে এটাও লক্ষণীয় যখন এরোপ্লেনে ঢাকায় এসে নামি, তখন সিলভার ব্যাপকতা (টিন) দেখা যায়, এর থেকে বোঝা যায় সর্বব্যাপী উন্নয়ন হয়েছে, শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সারা দেশে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, সবাইকে একসঙ্গে আনা যাবে না, ফেইজ বাই ফেইজ হবে, দুই বছরের মধ্যে হবে। মন্ত্রণালয়গুলো অটোমেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে আসলে খুব দ্রুত হবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সচিব আসাদুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সরকারের ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে গৃহঋণ পাওয়ার জন্য আগামী ১লা অক্টোবর থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। ভোটের বছরে সরকারের চালু করা এ সুবিধার আওতায় মাত্র ৫ শতাংশ সরল সুদে তারা ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ নিতে পারবেন। রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) থেকে এই ঋণ নেয়া যাবে।