× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘অমিত শাহর উইপোকা মন্তব্য হতে পারে বাংলাদেশের নির্বাচনী ইস্যু’

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮, বুধবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশী নাগরিকদের নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রধান অমিত শাহ’র মৌখিক আক্রমণ হতে পারে ঢাকার আসন্ন নির্বাচনের ইস্যু। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতে দ্য হিন্দুকে  এ কথা বলেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশী নাগরিকদেরকে ‘অবৈধ অভিবাসী’ ও ‘উইপোকা’ বলে যে মন্তব্য অমিত শাহ করেছেন, তা মাথায় রাখবে তার দল।
ফখরুল বলেন, ‘সাধারণত আমাদের নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে বৈদেশিক ইস্যু বেছে নিই না। কিন্তু আমরা দেখেছি যে তিনি (অমিত শাহ) বার বার কিছু সমস্যার জন্য বাংলাদেশের জনগণ নিয়ে কথা বলছেন। আমরা এ বিষয়টি জানি যে, তিনি ভারতজুড়ে বিভিন্ন প্রকাশ্য সভা সমাবেশে এ ধরণের বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তার এসব মন্তব্য যদি আগামী নির্বাচনী মৌসুমে ইস্যু হয়ে ওঠে তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।’
ভারত ঢাকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত অমিত শাহর সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে কোনো আপত্তি জানায় নি। অমিত শাহ বাংলাদেশের জনগণকে ‘উইপোকা’ আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ভারতের ক্ষতি করার অভিযোগ আনলেও ঢাকা কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে দেয় নি।
তবে হাসিনার জোটের সদস্য ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেছেন, এ ধরণের মন্তব্য অনাকাঙ্খিত।
ঢাকা থেকে ফোনে দ্য হিন্দুকে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারতের নেতারা যেসব ইস্যু তুলে ধরেছেন সেগুলো আলোচনার টেবিলে সংলাপের মাধ্যমে সুরাহা করতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ নিয়ে তার মন্তব্য ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়। আর এখন যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বাংলাদেশের, এ ধরণের অনাকাঙ্খিত মন্তব্য নির্বাচনী প্রচারেও চলে আসতে পারে।’
হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে নেমেছে বিএনপি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যুতে তিনি সংলাপের পথ বেছে নেন নি বলে অভিযোগ করছে দলটি। বর্তমানে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির অভিযোগে কারান্তরীণ। তবে দলটি সম্প্রতি আওয়ামী লীগ-নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বড় জোট গঠন করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘নবগঠিত জোটকে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ‘দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার অবর্তমানে দলের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা ফখরুল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উচিত নিজের আচরণ ঠিক করা এবং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর