× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ক্রাচে ভর দিয়ে এসে পরীক্ষা দিলেন তরিকুল

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮, বুধবার, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন

বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষার দেয়ার সুযোগ পাননি তরিকুল ইসলাম। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় মারাত্মক আহত তিনি। সে থেকে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। কর্তৃপক্ষ তার আবেদন সাড়া দেননি। বিভাগ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং ভিসি বরারব আবেদন করা হলেও মেলেনি মেডিকেলে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি। ফলে ভাঙা পায়ে ব্যান্ডেজ অবস্থায় ক্রাচে ভর দিয়ে বুধবার সকালে বিভাগে এসে তরিকুলকে মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে।
যদিও তার চেয়েও কম অসুস্থতা নিয়ে এর আগে অনেক শিক্ষার্থী বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা দিয়েছেন। তরিকুলের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন আচরণে ক্ষোভ জানিয়েছেন তার সহপাঠী, কোটা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে তরিকুল বলেন, ভাঙা পা এখনও নাড়াতে পারছি না। শরীরে শক্তিও নেই।
শারিরীকভাবে খুব দুর্বলতা অনুভব করছি। দীর্ঘদিন বেডে পড়ে থাকার পর হঠাৎ এভাবে ক্যাম্পাসে আসতে খুব কষ্ট হয়েছে।
প্রস্তুতি কেমন ছিল জানতে চাইলে তরিকুল বলেন, প্রস্তুতি ছিলো না, তবে শেষ সময়ে এসে কিছুটা পড়েছিলাম। কিন্তু বসে পরীক্ষা দেয়ার মতো অবস্থা আমার ছিল না। তবুও স্যারদের সহযোগিতায় পরীক্ষা দিয়েছি। আমাদের প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার সময় তার চোখ দিয়ে পানি ঝরছিল।
তরিকুল জানায়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। বুধবার থেকে তার চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার কয়েকদিন আগেই তিনি মেডিকেলে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষার দেয়ার জন্য বিভাগে অনুমতি চান। বিভাগ কর্তৃপক্ষ তাকে মেডিকেলের সুপারিশ নিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে আবেদন করার পরামর্শ দেয়।
সে অনুযায়ী তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার থেকে লিখিত সুপারিশ নিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে আবেদন করেন। পরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে ফাইলটি ভিসি দপ্তরে পাঠানো হয়।

ভির্সি তরিকুলকে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি না দিয়ে বিভাগেই পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, এর আগে আমরা তরিকুলের চেয়ে অনেক কম অসুস্থ ছাত্র-ছাত্রীকে মেডিকেলে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছি। সেটা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিজেই করতে পারেন। ভিসির অনুমতির প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু তরিকুলের বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিজে অনুমতি না দিয়ে, তার আবেদনটি ফাইল আকারে ভিসির কাছে পাঠিয়েছিল। কিন্তু ভিসি অনুমতি দেননি।
ভিসি কার্যালয়ের সচিব মীর শাহজাহান আলী বলেন, তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষার অনুমতি দেয়নি। ফলে বিভাগে পরীক্ষা দিতে হয়েছে তাকে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের অনুমতি পেলে আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় তাকে মেডিকেলে পরীক্ষা গ্রহণ করতাম। কিন্তু সেখান থেকে কোনো অনুমতি না আসায় তরিকুলকে বিভাগে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। বিভাগের শিক্ষকদের কক্ষে বসে সে পরীক্ষা দিয়েছে। যতটুকু সম্ভভ আমরা তাকে সহযোগিতা করেছি।
অনুমতি না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান সমাবর্তনের মিটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন বলে তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর