× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সংস্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮, বুধবার, ১২:১৪ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ  জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সংস্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, শান্তিরক্ষাকারীদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। গতকাল সন্ধ্যায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের উদ্যোগে অ্যাকশন ফর পিসকিপিং (এফোরপি) এর ওপর একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংস্থাটির সদরদপ্তরের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অ্যান্তোনিও গুতেরেসও বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা একটি বৈশ্বিক জনকল্যাণমুখী সেবা। এই বাহিনীর মর্যাদা ধরে রাখতে আমাদের সকলকে অবশ্যই একটি ইতিবাচক চিন্তাধারা নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। এটা অনেকের জীবনের আশার আলো জ্বালিয়েছে। আমাদের অবশ্যই এই আশার আলোকে সম্মান জানাতে হবে।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এই বাহিনীতে সেনা ও পুলিশ সদস্য পাঠানোর দিক থেকে অন্যতম শীর্ষ অবদানকারী দেশ হিসেবে আমরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সংস্কারের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের এখন নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে মোতায়েন করা হচ্ছে। ওইসব স্থানে শান্তি বজায় রাখার মতো পরিস্থিতি নেই। রাষ্ট্রবিরোধী সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহীদের পক্ষ  থেকে তারা ক্রমবর্ধমান হুমকির শিকার হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মিশনগুলো প্রায়ই বিভিন্ন মান ও ধরনের বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে থাকে। আর এটা জাতিসংঘ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানগুলোকে আরো জটিল ও বিপজ্জনক করে তুলছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এজন্য শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া উচিত। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে যে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের মতো ক্ষমতা ও সরাঞ্জামাদি তাদের দেয়া উচিত। শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, কোন রাষ্ট্রের সদস্যদের মোতায়েনের ক্ষেত্রে তাদের প্রতিশ্রুতি এবং সেই অনুযায়ী কতটা নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে তা বিবেচনা করা উচিত।
তিনি বলেন, তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবশ্যই উত্তরণ ঘটাতে হবে। আমরা আশা করছি এ ফোর পি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীকে তাদের লক্ষ্য পূরণে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। দি ডিক্লিয়ারেশন অব শেয়ার্ড পিসকিপিং কমিটমেন্টস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল বয়ে এনেছে বলেও উল্লেখ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর