× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সামনের চাকা ছাড়া যেভাবে অবতরণ করল ইউএস বাংলার উড়োজাহাজ (ভিডিও)

অনলাইন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮, বুধবার, ২:৫৫ পূর্বাহ্ন

ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ১৭১ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ বড় ধরণের দূর্ঘটনার হাত রক্ষা পেয়েছে। বুধবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নোজ গিয়ার (চাকা) ছাড়াই অবতরণ করায় এই দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

বিমানবন্দরের রানওয়ে সুপারভাইজার শওকত হোসেন জানান, বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১১টায় ইউএস বাংলার বিএস-১৪১ ফ্লাইটটি ৭ জন ক্রূসহ ১৭১ জন যাত্রী নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ক্সবাজারের উদ্দেশ্যে উড়াল দেয়। পরে গোলযোগ দেখা দেয়ায় ১টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার সারোয়ার ই জাহান বলেন, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটির নোজ গিয়ার নামছিল না। এ কারণে কক্সবাজারে নামতে না পেরে চট্টগ্রামে আসে। নোজ গিয়ার না নামিয়েই এখানে নিরাপদে ল্যান্ড করেছে। আরোহীরা সবাই নিরাপদে আছেন।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস ১৪১ কক্সবাজারে নামার কথা ছিল বেলা সাড়ে ১২টায়। কিন্তু নোজ হুইল আটকে যাওয়ায় পাইলট কক্সবাজারের আকাশে কয়েকবার চক্কর কেটে সেখানে না নামার সিদ্ধান্ত নেন।
পরে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রামে চলে আসে এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জরুরি অবতরণের জন্য সব প্রস্তুতি নেয়।

এ অবস্থায় উড়োজাহাজের যাত্রীরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন। উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে বিমানের পাইলট অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এ পরিস্থিতিতেই উড়োজাহাজটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন। এতে বড় ধরণের দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় বিমানটি। প্রাণে বেঁচে যান ১৭১ জন যাত্রী।

সরোয়ার ই জাহান আরো বলেন, পাইলটের দক্ষতার কারণে ত্রুটি সত্ত্বেও উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করতে পেরেছে। আল্লাহর অশেষ রহমত একটি বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে উড়োজাহাজটি।

এদিকে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া ওই বিমানের যাত্রী সোহাগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন- ইউএসবাংলা বিমানটি একটা ভয়াবহ বিমান। কেন এ ধরনের বিমান কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়! এ যাত্রায় আল্লাহ এবং ক্যাপ্টেনের সহযোগিতায় বেঁচে গেলাম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর