× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পানযোগ্য পানি তবে গোসলে না

ষোলো আনা

বায়েজিদ বোস্তামী, মেরিল্যান্ড আমেরিকা থেকে
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

দেশ ছেড়ে আমেরিকা আসার প্রায় ৯ বছর হতে চললো। এই দীর্ঘ সময়ে দেশের অনেক কিছুই মিস করি। তবে, টিউবওয়েল চাপিয়ে পানি পান করাটা মনে হয় একটু বেশিই মিস করি। আমেরিকায় এত বছর অবস্থান করলেও এই দীর্ঘ সময়ে কোনো টিউবওয়েল আমার চোখে পড়েনি। এখানকার বাসিন্দাদের পানির চাহিদা পূরণ হয় সরবারহকৃত পানিতে। খাবার পানির স্বাদ আমার জেলা রংপুরের পানির মতো এত সুস্বাদু নয়। আমি এখন মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে থাকি। সেখানে ভূ প্রাকৃতিক কারণে পানিতে প্রচুর ক্লোরিন পাওয়া যায়।
এই পানি পরিশোধন করে ব্যবহার উপযোগী করা হলেও শরীরের জন্য শতভাগ উপযোগী নয়। তবে, আমাদের ঢাকার পানির মতো ময়লা বা দুর্গন্ধযুক্তও নয়।

ক্লোরিনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় আমেরিকায় পানির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে আমার বেশ সময় লেগেছিল। পানি পান করলেও কেমন জানি একটা অতৃপ্তি থেকেই যেত। প্রথম দিকে সমস্যার কারণে ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। ডাক্তার পানি পান করতে বললেও, তিন/চার দিন পরপর গোসল করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে তা শরীরের সঙ্গে মানিয়ে যায়।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীতে বিশুদ্ধতম পানির পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমছে। সে বিষয়টা আমেরিকান জনগোষ্ঠী খুব সিরিয়াসভাবেই নিয়েছেন। আমি দেখেছি আমেরিকানরা পানির অপচয় করে না বরং তারা বৃষ্টির পানিও সংরক্ষণ করে। এ কারণেই এখানে পানির ততটা সংকট নেই। আরেকটা বিষয় আমার খুব ভালো লেগেছে, রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে রয়েছে পানি পানের সুব্যবস্থা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর