× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৬ মাত্রার ভূমিকম্পে আবার কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ১১, ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৩:৩০ পূর্বাহ্ন

সপ্তাহ ব্যবধানে আজ আবারো ভূমিকম্ন আঘাত হেনেছে ইন্দোনেশিয়ার জাভা এবং বালি দ্বীপে। আজ সকালে শক্তিশালী ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে অনুভূত হয়েছে দ্বীপ দুটিতে। এতে তিন জন নিহত হয়েছেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাড়িঘর বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্ন ও সুনামিতে মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয় দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপটি। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজারের বেশি মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তুপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ মঙ্গলবার শেষ ঘোষণা করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে আজ দেশটির জাভা এবং বালি দ্বীপে আবার ৬ মাত্রার ভূমিকম্ন আঘাত হানল। এতে আবারও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও ঘড়বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সুলাওয়েসি দ্বীপের সমুদ্র তীরবর্তী পালু শহরে গত ২৮শে সেপ্টেম্বর আঘাত হানা ভূমিকম্ন ও সুনামি উদ্ধারকৃত মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৪৫ জন।
উদ্ধারকাজে অংশ নেয়া দশ হাজার উদ্ধারকর্মী শেষ দিন পর্যন্ত পরিশ্রম করে গেছেন। নিখোঁজদের স্বজনরা প্র্রিয় মানুষগুলোর মরদেহ পাওয়া যাবে এই শেষ আশা নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। স্বজনদের জীবিত পাওয়া না যাক, অন্তত তাদের শেষকৃত্য যেন যথাযথভাবে হয় এটিই তাদের চাওয়া।
এমনই একজন স্বজন হারানো ব্যক্তি আহমেদ (৪৩) জানান, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। তাই পালুতে বাড়ির ধ্বংস্তুপের পাশে অপেক্ষা করছেন। যদি তাদের খুঁজে পাওয়া যায় এটা ভেবে। তার আরেক মেয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য মাকাসার শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  
তিনি আরো জানান, আমার এই মেয়েটিই এখন আমার একমাত্র সম্বল। যা কিছু আমার ছিল, সব ধ্বংস হয়ে গেছে।
নোফেল সুরিয়া (৩৭) নামের আরেক ব্যক্তি যিনি তার পরিবারের ১৫ জন সদস্যকে হারিয়েছেন। আর মৃতদেহ পেয়েছেন মাত্র ৭ স্বজনের।
তিনি জানান, আমি যদি আমার মনের কথা শুনি, তাহলে আমি চাইব যে উদ্ধারকাজ চলতে থাকুক। কিন্তু আমি মনে করি, আমাকে মেনে নিতে হবে যে আমি হয়ত আর তাদেরকে কখনই খুঁজে পাবো না।  
দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি বলেছে, কত মারা গেছেন তার কোনো ইয়ত্তা নাই। বালারাও ও  এর নিকটবর্তী জায়গায় আরো লাশ পাওয়া যাবে। কমপক্ষে ৫ হাজারের বেশি মানুষ এ দুর্যোগে মারা গেছেন।
হাদরিয়ানোস পরমার নামের এক উদ্ধারকর্মী জানান, আমরা আশা করি পরিবারগুলো এখন বুঝতে পারছে এই মুহুর্তে কোনো আশা নেই। কেউ যখন বলেন যে এখানে একটু খুঁজে দেখেন। এই ধ্বংস্তু পের নিচে আমার পরিবার আছে। সে মুহুর্তে আমরা কোনোভাবেই তাদেরকে না বলতে পারি না। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার কাজ শেষ ঘোষণা করা হলেও, আমরা যতজন পারি তাদেরকে সাহায্য করা চালিয়ে যাবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর