× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আমা দাবলাম মিশনে এভারেস্টজয়ী মুহিত

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
১৩ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার

বাংলাদেশি এভারেস্টজয়ী অভিযাত্রী এম এ মুহিত আবারো হিমালয়ের আমা দাবলাম শৃঙ্গে অভিযানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ পর্বত শৃঙ্গের উচ্চতা ২২ হাজার ৩৫০ ফুট। তিনি ১৫ই অক্টোবর যাত্রা শুরু করবেন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন মুহিত। এ সময় অভিযাত্রী দলের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করেন অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
মুহিত জানান, আগামী ১৫ই অক্টোবর নেপালের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তারা। কাঠমান্ডু হয়ে যাবেন লুকলায়। নয় হাজার ৩০০ ফুট উচ্চতায় লুকলা থেকে শুরু হবে পায়ে হাঁটা। হিমালয়ের পূর্ব অংশে শরতের শেষ ভাগের এই অভিযানে বেইজ ক্যাম্প পর্যন্ত মুহিতের সঙ্গী হবেন তরুণ অভিযাত্রী ইফফাত ফারহানা, কাওসার রূপম, মারুফ সালাম, আরিফুল ইসলাম ও সুজয় সেনগুপ্ত।
বাকি পথ শেরপাকে নিয়ে একাই পাড়ি দেবেন ৪৮ বছর বয়সী মুহিত।
লুকলা থেকে অভিযাত্রী দল চলে যাবে পর্বতকোলের ফাগদিন গ্রামে। সেখান থেকে নামাতি বাজারে গিয়ে সেখানে ২৪শে অক্টোবর দিনটি সেখানেই কাটাবেন মুহিতরা। পরদিন তারা যাবেন এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগের স্মৃতিবিজড়িত খুমজুং গ্রামে। সেখান থেকে চলে যাবেন ১৮ হাজার ২০০ ফুট উচ্চতার কালা পাথর এলাকায়। পরে তারা যাবেন বেইজ ক্যাম্পে। মুহিত ছাড়া অভিযাত্রী দলের বাকি সদস্যরা সেখান থেকেই ফিরে আসবেন। এরপর তিনটি ক্যাম্প হয়ে আমা দাবলাম চূড়ার দিকে রওনা হবেন বাংলাদেশি এ এভারেস্টজয়ী।
তিন বছর আগে এই দুর্গম পর্বতে একবার অভিযানে গিয়েও ‘অসুস্থতা ও বিরূপ আবহাওয়ার’ কারণে ফিরে আসতে হয়েছিল মুহিত ও বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের অভিযাত্রী দলকে।
মুহিত বলেন, আমি এবার অভিযানটি করছি দক্ষিণ দিক থেকে। ৫ হাজার ৭০০ ফুট উচ্চতার বেইজ ক্যাম্প-১, এরপর ২১ হাজার ফুট উচ্চতার বেইজ ক্যাম্প-২ এ যেতে সবচেয়ে কঠিন পাথুরে পথ আমাকে পেরোতে হবে। ভার্টিকাল  রক ক্লাইম্ব করাটা খুব সহজ হবে না। তারপর বেইজ ক্যাম্প-২ থেকে বেস ক্যাম্প-৩ এ যেতে আমাকে পেরোতে হবে বরফের খাড়া দেয়াল। পর্বতারোহণ দক্ষতার সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা নেবে এই আমা দাবলাম।
পর্বতারোহীদের সাইট ‘সামিট ক্লাইম্ব’ বলছে, ১০ই অক্টোবর থেকে ৭ই নভেম্বর আমা দাবলাম অভিযানের উপযুক্ত সময়। আমা দাবলাম শব্দটির অর্থ মায়ের গলার হার। দূর থেকে দেখলে মনে হতে পারে পর্বততুল্য এক মা তার শিশুকে কোলে নিয়ে রক্ষা করছেন সেজন্যই এমন নাম।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালের ১৩ই মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের বেরি বিশপ, নিউজিল্যান্ডের মাইক গিল ও ওয়ালি রমানসে, ইংল্যান্ডের মাইক ওয়ার্ড প্রথমবারের মতো এই চূড়া জয় করেন। হিমালয় অভিযানে পর্বতারোহীদের পছন্দের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে আমা দাবলাম। ২০০৬ সালের নভেম্বরে এই পর্বতের বেইজ ক্যাম্প-৩ এ বরফ ধসে কয়েকজন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়।
মুহিত এর আগে চো-ইয়ো ও মানাসলু শিখরে আরোহণ করেছেন। এছাড়া হিমালয়ের ৭ হাজার মিটার এবং ৬ হাজার মিটার উচ্চতার ছয়টি শৃঙ্গে তিনি গেছেন সাতবার। এবারের আমা দাবলাম অভিযানে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের অভিযাত্রীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ইস্পাহানি টি, ইউনিয়ন ব্যাংক ও চ্যানেল আই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর