× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘জমি লেইখ্যা না দেয়ায় মোরে পোলায় মারছে’

বাংলারজমিন

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
১৩ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার

তালতলী উপজেলার সোবাহান পাড়া গ্রামের বৃদ্ধ মো. জব্বার মুন্সী (৭০)কে মারধর করেছে বড় ছেলে মো. ছালাম মুন্সী (৪৫)। মো. জব্বার মুন্সী আমতলী হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে  সোবাহান পাড়া গ্রামের জব্বার মুন্সীর স্ত্রী জবেদা খাতুন (৬৫) ১লা অক্টোবর মারা যায়। মারা যাওয়ার ১ সপ্তাহ পরে সোমবার জবেদা খাতুনের চল্লিশা অনুষ্ঠিত হয়। চল্লিশা অনুষ্ঠানেই ছেলে ছালাম পিতা জব্বার মুন্সীর কাছে জমি লিখে দিতে বলেন, এতে পিতা জব্বার মুন্সী অপরাগতা প্রকাশ করলে ছেলে ছালাম মুন্সী পিতা জব্বার মুন্সীকে মারধর করেন। ্রএ সময় জব্বার মুন্সীর মেয়ে ফাতেমা, মেয়ে জামাই কাশেম বাধা দিতে গেলে ছালাম মুন্সী ও তার ছেলে   এমাদুল, ছালামের জামাতা সিদ্দিক, বশির, আলমগীর  তাদেরকে  ও মারধর করেন। একই দিন জব্বার মুন্সীর আরেক মেয়ে জামাই ফারুক মিয়া (৩৫)কে নিশান বাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বসে মারধর করেন ছালাম মুন্সী তার ছেলে  এমাদুল।
 বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় মো. জব্বার (৭০) ফাতেমা (৩০) কাশেম (৪০) আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফারুক (৩৫) এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ সময় বৃদ্ধ পিতা মো. জব্বার মুন্সী  বলেন, মুই জমি লেইখ্যা না দেয়ায় মোর পোলা (ছেলে) ছালাম, নাতী এমাদুল, নাতনী জামাই সিদ্দিক, বশির, আলমগীর তাকে মারধর করেন।  তিনি এ ঘটনার সঠিক বিচার চান। এ ব্যাপারে ছেলে ছালাম মুন্সী মুঠোফোনে মারধরের কথা  অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে নিশান বাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান  মো. দুলাল ফরাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো অভিযোগ পাই নাই অভিযোগ পেলে ছেলের বিচার করা  হবে। এ ব্যাপারে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলক চন্দ্র রায় বলেন, জবেদা খাতুনের চল্লিশার দিন খাওয়া-দাওয়া নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে শুনেছি।  অভিযোগ পেলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।  এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী এ ঘটনার কঠোর বিচার দাবি করেছেন প্রশাসনের কাছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর