× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কালিহাতীতে শিক্ষকের প্রেমের ফাঁদে দুই শিক্ষিকা! অতঃপর বিয়ে

বাংলারজমিন

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১৩ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার

কালিহাতীতে কোচিং শিক্ষক রাজিবের প্রেমের ফাঁদে পড়ে বিপাকে পড়েছে দুই প্রেমিকা শিক্ষিকা। বিয়েও করেছেন দু’জনকেই। একজন রিমু আক্তার অপরজন মরিয়ম আক্তার। মরিয়মকে আপত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে আটকের পর বিয়ে করলেও রিমুকে বিয়ে করেছেন পালিয়ে গিয়ে। উভয় শিক্ষিকাই স্বামী রাজিবের কাছে থাকতে অনড়। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তবে শিক্ষক রাজিব রিমুকে নিয়েই সংসার করতে ইচ্ছুক। এমনি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে উপজেলার পাইকরা ইউনিয়নের হাওড়াপাড়া গ্রামে।
জানা যায়, উপজেলার হাওড়া পাড়া এলাকায় এক্টিভ নামে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছিলেন রাজিব। ওই কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করতেন স্থানীয় গোপালপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ’র মেয়ে রিমু আক্তার (২২) ও  পৌজান গ্রামের আলতাফ হোসেনের মেয়ে মরিয়ম আক্তার (২২) নামে দুই শিক্ষিকা। ওই শিক্ষিকাদ্বয়কে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন রাজিব। সম্প্রতি মরিয়ম আক্তারের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্তাবস্থায় স্থানীয়রা হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে রাজিব ও মরিয়মের বিয়ে হয়। বিয়ের পরদিন রাজিব আরেক শিক্ষিকা রিমু আক্তারকে নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমায়। সেখানে তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহ করে। ৫ দিন পর ২য় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরে রাজিব। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং উৎসুক জনতা প্রতিদিন বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকে। কোনো উপায় না দেখে রাজিব বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
রিমু আক্তার জানায় দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ আমার সঙ্গে রাজিবের প্রেমের সম্পর্ক। আমি দুই শিফটে কোচিংয়ে শিক্ষকতা করে বেতনের অর্ধেকাংশ আমি নিতাম এবং বাকিটা রাজিবকে সংসারের আসবাবপত্র বানানোর জন্য দিতাম। দীর্ঘদিন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও সে আমাকে বিয়ে করেনি। কিন্তু যখন পারিবারিকভাবে জোরপূর্বক মরিয়মের সঙ্গে তার বিয়ে দেয় পরদিন সকালেই সে আমাকে ডেকে ঢাকায় নিয়ে বিয়ে করে। সে আরো জানায়, রাজিবের পরিবার কোনোভাবেই আমাকে মেনে নিতে পারছে না। আমি রাজিবের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছি। মরিয়ম আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ কোচিংয়ে শিক্ষকতা করার সুবাদে রাজিবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে একপর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়। সে আমাকে বিবাহ না করার জন্য তালবাহানা করলে তখন আমি বিয়ের দাবিতে রাজিবের বাড়িতে গিয়ে উঠি। পরে সামাজিকভাবে এলাকাবাসী ও রাজিবের পরিবারের লোকজন আমাদের বিবাহ দেয়। এবিষয়ে শিক্ষক রাজিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা বেশ কয়েকবার মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যে রাজিব ও তার প্রেমিকার দুই পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে এ সমস্যার সমাধান করবে বলে তিনি জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর