চরফ্যাশন উপজেলা নীলকমল ইউনিয়নের এক গৃহবধূকে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে গায়ে মুখে গরম রডের ছ্যাঁকা (ক্ষত) করে ঝলসে দিয়েছে পাষণ্ড স্বামী। স্থানীয় চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদার ওই গৃহবধূকে গতকাল দুপুরে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়রা ওই পাষণ্ড স্বামীকে আটক করে দুলারহাট থানায় সোপর্দ করেন। দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, চরফ্যাশন উপজেলা নীলকমল ইউনিয়নের মুন্সিরহাট ২নং ওয়ার্ড চর-নুরুল আমিন গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে জামাল উদ্দিন। পাষণ্ড জামাল উদ্দিন চারটি বিয়ে করে। বড় বউ নীলকমল ইউনিয়নের চর নুরুল আমিন গ্রামে বসবাস করেন। নির্যাতিতা রিক্তা ঢাকা থাকেন। গত ৯ই অক্টোবর স্বামীসহ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন।
স্বামী রিক্তাকে বিভিন্ন অজুহাতে রডের গরম ছ্যাঁকা দিয়ে মুখ, গলা ঝলসে দেয়। তাঁর ডাকচিৎকারে স্থানীরা চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদারকে খবর দেয়। নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদার এই প্রতিনিধিকে বলেন, ছেলেটি খুবই খারাপ। এই পর্যন্ত চরফ্যাশন, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে মোট ৪টি বিয়ে করেছে। নির্যাতিত রিক্তা বউদের মধ্যে সবার ছোট। তার গায়ে মুখে অমানুষিক নির্যাতনের চিহ্ন দেখে মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করাই। বড় বউসহ স্বামী পালিয়ে যায়। পরে সকল চকিদারসহ তেলী বাড়ির জনৈক ঘরের কারের (পাটাতনের) ওপর থেকে তাকে বের করে দুলারহাট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করি। দুলারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, নির্যাতিত রিক্তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামী জামাল উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। রিক্তার গায়ে গরম রডের ব্যাপক ছ্যাঁকার (ক্ষত’র) চিহ্ন রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।