বাসা থেকে বের হওয়ার প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর রিপেন সিংহ প্রকাশ ধ্রুব (৩৩) নামে এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া গেছে কর্ণফুলী নদীতে। রিপেন সিংহ চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার দিনগত রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানার চরপাড়া এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীর সংরক্ষণে দেয়া বাঁধের পাথরের সঙ্গে আটকানো অবস্থায় রিপেন সিংহের মরদেহ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। পতেঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উৎপল কান্তি বড়ুয়া জানান, রিপেন সিংহের শরীরের কোথাও আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। কিন্তু তার নাকে-মুখে রক্ত রয়েছে। রিপেন সিংহ কি আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাকে কেউ খুন করে মরদেহ নদীতে ফেলে দিয়েছে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান ওসি উৎপল বড়ুয়া।
ওসি জানান, রিপেন সিংহ ধ্রুব নগরীর কোতোয়ালি থানার আসকারদীঘির পশ্চিম পাড়ে অফিসার্স লেইনের ক্ষুধিরাম সিংহের ছেলে। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে নাস্তা করার কথা বলে রিপেন সিংহ বাসা থেকে বের হন। বাসায় ফিরতে সময় লাগবে বলেও জানিয়েছিল সে। দুপুরের পরও বাসায় না ফেরায় এবং মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় সন্ধ্যার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন তার বাবা ক্ষুধিরাম সিংহ। ক্ষুধিরাম সিংহ জানান, শুক্রবার দিনগত রাত ১টার দিকে কোতোয়ালি থানার ওসি পতেঙ্গায় একটি মরদেহ পাওয়ার খবর দেন। পরে সেখানে গিয়ে আমরা রিপেন সিংহের মরদেহ শনাক্ত করি।
ক্ষুধিরামের দাবি, তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নগরীর হাজারী লেইনের মিষ্টি ঘর গলির শুভ চৌধুরী নামে রিপেনের এক বন্ধু আছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, জিডি দায়েরের পর আমরা রিপেন সিংহের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করি। এর মধ্যেই তার মরদেহ উদ্ধার হয় পতেঙ্গায়। তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে এখনো জানা যায়নি। এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।