× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হতাশা বাড়ছে সংগীতাঙ্গনে

বিনোদন

ফয়সাল রাব্বিকীন
১৪ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার

দিন দিন কেবল হতাশা বড়ছে সংগীতাঙ্গনে। অডিও কোম্পানি, শিল্পী, গীতিকার, সুরকারদের মধ্যে এখন ঘোর অনিশ্চয়তা ভর করেছে। কারণ, স্থিতিশীল নেই গানের বাজার। আর এটা নিয়ন্ত্রণের কোনো পদ্ধতিও নেই। একটা সময় জনপ্রিয় কোনো শিল্পীর লাখ লাখ কপি ক্যাসেট ও সিডি বিক্রি হতো। কিন্তু এখন আর তা নেই। ইউটিউবে গান প্রকাশ হচ্ছে। যার ফলে সেটা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও নেই।
এর ওপর আবার ওয়েলকাম টিউন থেকে আয়ের পরিমাণ কমে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার ফলে কোম্পানিগুলো শুধুমাত্র গানে বিনিয়োগ করছে খুব কম। কোরবানির ঈদের পর এই গতি আরো কমে গেছে। এখন অনেকটাই স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে সংগীতাঙ্গনে। অন্যদিকে ইউটিউবে যার ভিউ যত বেশি তার দিকেই ঝুঁকছে কোম্পানিগুলো। কারণ, ইউটিউবই এখন সবচাইতে বড় মাধ্যম গান থেকে আয়ের। এর ফলে ভিউনির্ভর শিল্পীদেরই প্রাধান্য বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার ফলে মূলধারার শিল্পীদের বড় একটা অংশের ভেতর হতাশা আরো বেশি ভর করেছে। কারণ, তাদের কাজ কমে গেছে। এমতাবস্থায় সার্বিকভাবেই সংগীতাঙ্গনে হতাশার কালো ছায়া বিরাজ করছে। এখান থেকে কবে নাগাদ বের হওয়া যাবে সে বিষয়টিও নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো গানের বদলে ঝুঁকছে নাটক কিংবা ওয়েব সিরিজ নির্মাণের দিকে। গানের চাইতে ইউটিউবে নাটক কিংবা ওয়েব সিরিজের কাটতি বেশি বলে অনেক সংগীত কোম্পানি এখন নাটকে বিনিয়োগ করছে। কোনো কোনো সময় নাটক কিংবা ওয়েব সিরিজে ব্যবহার করা হচ্ছে গান। সেক্ষেত্রে গানটি পরে ভিডিওসহ আলাদা প্রকাশ করা যাচ্ছে। কিন্তু এর ফলে কাজ কমছে শিল্পীদের। কারণ, কোম্পানি একটি কাজে বিনিয়োগ করে তিনটি অডিও-ভিডিও পাচ্ছে। সেক্ষেত্রে মুনাফাটাও বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পীর বাইরে অন্য কোনো শিল্পীর গান করে রিস্কও নিতে চাচ্ছে না কোম্পানিগুলোকে। সব মিলিয়ে এখন একটি তথৈবচ অবস্থা বিরাজ করছে সংগীতাঙ্গনে। এ বিষয়ে সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী বলেন, সত্যি বলতে আমিও বিরক্ত এসব বিষয় নিয়ে। ভালো শিল্পীদের মূল্যায়নটা সেভাবে হচ্ছে না। যার ফলে দেশের সংগীতের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি শঙ্কিত। এক্ষেত্রে তারকা শিল্পী ছাড়াও আরো বিপাকে পড়ছে নতুন শিল্পীরা। কারণ, তারা কোনো ধরনের সাপোর্টই পাচ্ছে না। অনেকে মেধাবী থাকা সত্ত্বেও অর্থ খরচ করে গান করতে পারছে না। যার ফলে অনেক মেধাবী সংগীতাঙ্গনে প্রবেশের আগেই হারিয়ে যাচ্ছে। অথবা তাদের মধ্যে সংগীতাঙ্গন সম্পর্কে একটি বিরূপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে। এক্ষেত্রে সবারই এগিয়ে আসা উচিত। আর কোম্পানি যেহেতু বিনিয়োগ করছে তাই তারকা শিল্পীদের পাশাপাশি নতুন শিল্পীদের নিয়েও ভাবা উচিত। শুধু কাটতি নিয়ে ভাবলে তো আর চলবে না। এ বিষয়ে আরেক সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী বলেন, এটা আসলে খুব দুঃখজনক ব্যাপার। এখন ডিজিটালি গান প্রকাশ হচ্ছে ঠিক আছে। তবে আমি মনে করি একটা নিয়মের মধ্যে সব কিছু চলা উচিত। কিন্তু কোনো নিয়মই দেখতে পাই না। আর যে সমস্যাগুলো আছে তা একসঙ্গে বসে সমাধান করা উচিত। প্রয়োজনে সরকারের সঙ্গে অডিও কোম্পানি, শিল্পী ও সংগীতসংশ্লিষ্টরা বসে আলোচনা করা উচিত। আমার মনে হয় সবার চেষ্টা থাকলে যেকোনো সমস্যাই মোকাবিলা করা সম্ভব। সংগীতের এই হতাশা দূর করতে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। তাই সবাইকে একাত্ম হতে হবে। আলোচনা করতে হবে। সমাধান বের করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর জায়গা রেখে যেতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর