× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

বাংলারজমিন

হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) থেকে সংবাদদাতা
১৪ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার

হরিপুর উপজেলার ২নং আমগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. পাভেল তালুকদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক ব্যক্তির প্রায় এগারো বিঘা জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। তার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রসঙ্গে ব্যবস্থা নিতে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় দেবরাজ গ্রামের বাসিন্দা মো. হাসিম উদ্দিন। অভিযোগে তিনি বলেছেন, ইউপি চেয়ারম্যান পাভেল ঠিকমতো ইউপি কার্যালয়ে বসেন না। তিনি সচিবের স্বাক্ষর ছাড়াই ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও ট্রেড লাইসেন্স ফাঁকা স্বাক্ষর করেন। কোনো এনজিওকে দিয়ে বসতবাড়ির কর আদায় করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা থাকলেও নিয়মবহির্ভূতভাবে তিনি কর আদায় করে টাকা ব্যাংকে জমা রাখেন। আমগাঁও ইউপি কার্যালয়ে না বসে যাদুরানীতে ব্যক্তিগত অফিসে বসেন এবং আসবাবপত্র ও ফাইল সেখানেই রেখে ব্যাপক দুর্নীতি করেন। ভিজিএফের চাল দেয়ার সময় ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে আদায় করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান পাভেল তার অনুগত লোক দ্বারা সম্প্রতি বেলুয়া গ্রামের মো. আব্দুল হাকিমের প্রায় এগারো বিঘা জমি দখল করেছেন।
এ ব্যাপারে হরিপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে কোনো প্রতিকার পায়নি প্রকৃত জমির মালিক আব্দুল হাকিম। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০শে সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি-১ অধিশাখা হতে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসককে হরিপুর উপজেলার ২নং আমগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান পাভেলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে বলে জানা যায়। জমি দখলের বিষয়ে মো. আব্দুল হাকিমের ছেলে রাসেল সরকার রিজভী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে আমাদের বৈধ জমি জবরদখল করেছে। জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান পাভেল তালুকদার বলেন, আমি নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। সবকিছু বুঝি না। কারো জমি দখল করিনি। এখানে অনেক গ্রুপিং। আর নানা কারণে একজন চেয়ারম্যান কখনোই সবসময় অফিসে বসতে পাওে না। হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম জে আরিফ বেগ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শুনেছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। হরিপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুস সবুর বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা শুনেছি। তদন্ত করলে ভালোভাবে জানা যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর