× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কালীগঞ্জে উঠে গেছে সড়কের পিচ-খোয়া, দুর্ভোগ

বাংলারজমিন

তোফাজেল হোসেন তপু কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) থেকে
১৪ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার

রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পিচ-খোয়া উঠে গেছে। ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টিতেই জমছে পানি। এর ওপর দিয়ে হেলেদুলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে গাড়ি। এ অবস্থা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাসস্ট্যান্ডের যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের। সড়কটি এমনই বেহাল যার কারণে প্রায় ঘটছে ছোট বড় দুঘটনা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চলাচলকারী হাজারো মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার বাসস্ট্যান্ডে এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য অটোরিকশা, বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এটি ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া জেলার যাতায়াতের প্রধান সড়ক।
সড়কটি দিয়ে খুলনা-যশোর রুটে হাজারো যানবাহন নিত্যদিন যাতায়াত করেন। বৃহস্পতিবার সরজমিন দেখা গেছে, সামান্য বৃষ্টিতে ২ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। কালীগঞ্জ টিঅ্যান্ডটি অফিসের সামনের সড়কটি উভয় পাশে পিচ ও খোয়া উঠে দেবে গেছে। কালীগঞ্জ দুলাল মুন্দিয়াবাজার থেকে নিমতলা বাজার পর্যন্ত খুবই খারাপ অবস্থা। কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। এখানে বড় বড় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদাপানিতে এ অংশ একাকার হয়ে যায়। সড়কে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ঝিনাইদহে চাকরি করেন শিমুল বিশ্বাস বলেন, এ সড়ক দিয়ে ঝিনাইদহে খুব সংক্ষিপ্ত রাস্তা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। খড়িখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীসহ কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। সড়কটির বেহাল হওয়ার কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
কালীগঞ্জ ফয়লা গ্রামের অটোরিকশা চালক মহিদুল ইসলাম বলেন, ছোট যানবাহন প্রায়ই উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। অন্তঃসত্ত্বা ও অসুস্থ মানুষের দুর্ভোগ দেখে কান্না আসে। ৫ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগছে আধাঘণ্টা। কাভার্ডভ্যান চালক বেলাল আহমেদ বলেন, গত ১০ বছর ধরে এ এলাকার বাজারগুলোতে পণ্য দিতে আসি। সড়কের অধিকাংশ জায়গায় ছোট-বড় গর্ত। গাড়ি চলে হেলেদুলে। খানাখন্দে চাকা পড়লে গাড়ি তোলা দুষ্কর হয়ে যায়। আবার উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। নাকাল অবস্থা। এই অবস্থায় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা বলেন, বিষয়টি নিয়ে বার বার উপর মহলে বলা হয়েছে সড়কটি অতি দ্রুত সংস্কার করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর