× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চিকিৎসার অভাবে পচন ধরেছে আবিরনের পায়ে!

বাংলারজমিন

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৪ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার

মোসা. আবিরন বিবি। বয়স প্রায় ষাটের কাছাকাছি। মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার সাভার গ্রামের জরাজীর্ণ এক বাড়িতে থাকেন তিনি। প্রায় ৪০ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল পার্শ্ববর্তী মওরা গ্রামের আবদুল লতিফের সঙ্গে। বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় আব্দুল লতিফ দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়। পরবর্তীতে স্বামী আব্দুল লতিফ আবিরন বিবির আর কোনো খোঁজ নেননি। হাবিবুর রহমান (৩৫) নামে এক ছেলে আছে তার। হাবিবুর বিয়ে করে মানিকগঞ্জ শহরে অটোরিকশাা চালায়।
সেও তার কোনো খোঁজ নেয় না। বয়সের ভারে শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বেঁধেছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। বেড়েছে ডায়াবেটিস আর হার্টের সমস্যা। একা চলতে পারে না। ডান পায়ের চারটি আঙুলে পচন ধরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। মাঝে মাঝে পায়ের ক্ষত স্থানের পোকাগুলো কুটকুট করে কামড়ায়। ঠিকমতো চিকিৎসাও হচ্ছে না। আমার তো আর কেউ নেই। কথাগুলো বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেন আবিরন বিবি। জানা যায়, উপজেলার সাভার গ্রামের আবিরন বিবি প্রায় ২০ বছর যাবৎ এ রোগে ভুগছেন। আর্থিক সংকটের কারণে তার চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি। প্রতিবেশীরা মাঝে মাঝে খাবার দেয়, তা খেয়েই তিনি বেঁচে থাকেন। পাঁচ শতাংশ জমিতে ভাঙাচুরা জরাজীর্ণ একটি ঘরে তিনি থাকেন। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আবিরন বিবি নানানবিধ আর্থিক সমস্যায় জীবন অতিবাহিত করে যাচ্ছেন কিন্তু বর্তমানে তিনি কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে সে এখন মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছে। উপজেলার আগসাভার গ্রামের ব্যবসায়ী মো. মোশারফ হোসেন জানান, আবিরনকে দ্রুত চিকিৎসা করা প্রয়োজন। কোন হৃদয়বান ব্যক্তি যদি আবিরন বিবির সাহায়্যে এগিয়ে আসতেন তাহলে হয়তো তার চিকিৎসা করে সুস্থ করা যেত। আবিরন বিবির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চেয়ারম্যান, মেম্বারদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাই নাই, কিছু সাহায্য পাইলে বাকি জীবনটা সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারতাম।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর