জটিল সমীকরণের দিকে যাচ্ছে পঞ্চগড়-১ আসনে ভোটের হিসাব-নিকাশ। দীর্ঘদিনের গ্রুপিং, দ্বন্দ্ব ও কেউ কাউকে ছাড় না দেয়ার কারণে দলীয়ভাবে মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের কে মনোনয়ন পাবেন তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। বিএনপি’র প্রার্থিতা নিয়েও দেখা দিয়েছে ধূম্রজাল। উভয় দলের প্রার্থিতা নিয়ে নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভোটাররা সংশয়ে থাকলেও জোটগত বা দলগত কে কে প্রার্থী হলে ভোটযুদ্ধের চিত্র কেমন হবে তা নিয়ে চলছে হিসাব-নিকাশ। কষা হচ্ছে ছক। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ জন। তারা তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সর্বস্তরের ভোটারদের পক্ষে টানাসহ জনপ্রিয়তা বাড়াতে নিজ নিজ কৌশলগত কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি মনোনয়ন দৌড়ে সক্রিয় রয়েছেন।
চলছে পাল্টাপাল্টি শোডাউন। নেতাকর্মীরা সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
তবে জনসম্পৃক্ততামূলক ভোটের রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপে তৃণমূলে চাঙ্গাভাব বিরাজ করলেও এক্ষেত্রে বিএনপি সবদিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। বিএনপি’র কোনো প্রার্থীকে শহর বা তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক কোনো কার্যক্রম করতে দেখা যাচ্ছে না। সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা না থাকাসহ নেতৃত্ব শূন্যতার কারণে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।
জাসদের একাংশের নেতা ও বর্তমান পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান জনসমর্থন তার পক্ষে ঠিক রাখাসহ জনপ্রিয়তা বাড়াতে ঘন ঘন এলাকায় এসে জনসম্পৃক্ততামূলক নানা কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। এর পাশাপাশি নৌকা প্রতীকের মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তবে তার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে করা বাংলাদেশ জাসদের নিবন্ধনের আবেদনটি নির্বাচন কমিশনে ঝুলে রয়েছে। যাচাই বাছাইয়ের পর কমিশন আবেদনটির ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেয় এবং সিদ্ধান্ত পক্ষে না এলে কি হবে তা নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা সংশয়ের মধ্যে রয়েছেন। এ আসনের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার পরিবর্তে দলের অন্য কাউকে এবার নৌকা প্রতীক দেয়ার দাবি তুলেছেন। তবে নাজমুল হক প্রধানের কাছের লোকজন জানিয়েছেন জোটগত নির্বাচন হলে তিনিই মনোনয়ন পাবেন। মনোনয়ন না পেলেও তিনি নির্বাচন করবেন।
সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ মজাহারুল হক প্রধান প্রবীণ রাজনীতিবিদ হিসেবে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। মনোনয়ন নিশ্চিত করতে তিনি নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের তার পক্ষে রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন। গত মঙ্গলবার নির্বাচনী এলাকার তিনটি উপজেলায় নজিরবিহীন মোটরসাইকেল ও গাড়িতে করে বিশাল শোডাউন করেছেন। শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে। এবারের নির্বাচনে তার দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত ভেবে সবার আগে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু করেন। গত নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দিয়ে শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য বলা হয়। নবম সংসদ নির্বাচনে মজাহারুল হক প্রধান আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মজাহারুল হক প্রধানকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়। কিন্তু জোটগত নির্বাচনের স্বার্থে বিরোধী দলের প্রার্থী দাঁড় করাতে হাইকমান্ডের নির্দেশে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। পরবর্তীতে মনোনয়ন দেয়া হয় জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সালেককে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং সহ আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচনী কাজে নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে সালেক জাসদ প্রার্থী নাজমুল হক প্রধানের কাছে পরাজিত হন। সালেক এবারো নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। এ লক্ষ্যে তিনি সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের সাবেক জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ ও আওয়ামী লীগ নেতা নাঈমুজ্জামান মুক্তা কেন্দ্রীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রীর সবুজ সংকেতে গত বছর নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে মাঠে নামেন। এ আসনেই তার গ্রামের বাড়ি। তিনি এক বছরের বেশি সময় ধরে ভিন্নধর্মী ধারাবাহিক নানা কর্মকাণ্ড, ব্যক্তি ইমেজ, লোকজনদের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখার কারণে ইতিমধ্যে সর্বস্তরের মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা গড়ে উঠেছে। তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ জনগণের মাঝে সভা-সমাবেশে তুলে ধরতে প্রতিটি এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি উঠোন বৈঠক করছেন। তিনি বিভিন্ন ভোটারের বাড়িতে রাতযাপন, খাওয়া- দাওয়াসহ নানান ব্যতিক্রমী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। সবদিক বিবেচনায় তাকে একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে। তার পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের একটি গ্রুপও কাজ করছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ আনোয়ার সাদাত সম্রাটও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এ লক্ষ্যে তিনি নানা কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে সভা-সমাবেশ করছেন। দলের সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করাসহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও উঠোন বৈঠক করে মাঠ সাজানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।
এদিকে, বিএনপি’র প্রার্থিতা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। সবাই ধারণা করেছিল বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার এ আসনে প্রার্থী হবেন। কিন্তু তিনি শারীরিক সমস্যার কারণে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করে তার ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এতে নেতাকর্মীরা হতাশ হয়েছেন। সম্প্রতি তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুরে নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি বলেন- আমার বয়স হয়েছে। এ জন্য নির্বাচন নাও করতে পারি। তাই আগামী নির্বাচনে আপনারা আমার ছেলেকে এই আসনে নির্বাচিত করবেন। যেভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছেন ঠিক তেমনি আমার ছেলেকেও দেখে রাখবেন। বাবা হিসেবে আপনাদের পাশে থাকার জন্য ছেলেকে আমি কঠিন নির্দেশনা দিয়েছি। আমি যতদিন বেঁচে আছি বিএনপি’র রাজনীতি করবো। এ ছাড়া মনোনয়ন চাইবেন সকল শ্রেণি- পেশার মানুষের কাছে জনপ্রিয় পঞ্চগড় পৌরসভার ৫ বার নির্বাচিত মেয়র তৌহিদুল ইসলাম। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তাকে প্রার্থী হওয়ার জন্য দলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন চাপ দিচ্ছেন।
২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সভাপতি প্রয়াত শফিউল আলম প্রধানের মেয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান এবার এ আসন থেকে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। পিতার জনপ্রিয়তার সুযোগ কাজে লাগাতে তিনি ইতিমধ্যে ১ ও ২ আসনে গণসংযোগসহ একাধিক সভা-সমাবেশ করেছেন। তার অনুপস্থিতিতে ছোট ভাই প্রকৌশলী রাশেদ প্রধান এলাকায় কাজ করছেন।
বিএনপি’র অনেকের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কারণে জেলা জামায়াতের আমীর ও সাবেক সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল খালেক প্রার্থী হতে পারেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে বিএনপি’র প্রার্থী দাঁড়াবার জের ধরে সম্পর্কের অবনতি হওয়াসহ দূরত্ব বাড়তে থাকে। সূত্র মতে, মামলাসহ নানান কারণে জামায়াতের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা থাকলেও নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগের ঘাটতি নেই। মাঠে-ময়দানে প্রকাশ্যে প্রচার- প্রচারণা দেখা না গেলেও জামায়াত ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট এবারো নির্বাচনে জয়লাভ করবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জোটবদ্ধভাবেই হবে। তাই আমি জোটের একজন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। মহাজোটের শরিক হওয়াসহ সার্বিক বিবেচনায় এই আসনে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনীত করবেন বলে আশা করছি।
সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান বলেন, গত নির্বাচনে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি আমার মনোনয়নটি প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। এ হিসেবে আমি মনে করি এবার আমাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। আমাকে মনোনয়ন দেয়া হলে আমি আবার এ আসনটি দলকে উপহার দিতে পারবো। সে যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা আমার রয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ভোটাভুটি হোক। যে ভোট বেশি পাবে তাকে আমরা প্রার্থী হিসেবে মেনে নেবো। দলের সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করে যাচ্ছি। দলীয় কর্মসূচিসহ সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলাসহ এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমার বাবা জেলা আওয়ামী লীগের সফল সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে কয়েকবার নির্বাচনে অংশও নিয়েছিলেন। সে হিসেবে আমি মনোনয়নের দাবি করছি। তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি নবীন ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে পারবো। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিলে সাধারণ মানুষের সমর্থনে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবো- এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি।
নাঈমুজ্জামান মুক্তা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে আমাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হবে। একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তরুণ প্রজন্মসহ সকল স্তরের গণমানুষের ভালোবাসাই আমার ভরসা। জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে তরুণ নেতৃত্ব খুঁজছেন। আমার সার্বিক কর্মকাণ্ড বিবেচনায় তিনি আমার প্রতি আস্থা রাখবেন বলে মনে করছি। সেক্ষেত্রে আমি আমার সততা ও যোগ্যতা নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারবো।
আবু সালেক বলেন, জোটগত বা দলীয়ভাবে যেভাবে হোক আমি এবারো নির্বাচনে প্রার্থী হবো। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী হয়েও আমি আওয়ামী লীগের কিছু নেতার প্রতিহিংসামূলক আচরণ ও বিরোধী ভূমিকার কারণে জাসদের মশাল প্রতীকের প্রার্থীর কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছি। জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে আমি মনোনয়ন পাবো আশা করি। আর জোটগত নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মহোদয়ের পছন্দের যে আসনগুলো রয়েছে তার মধ্যে আমি অন্যতম। এবার জোট অথবা দলীয় মনোনয়ন পেলে এই আসনে আমি নির্বাচিত হবো বলে আশা করছি।
কেন্দ্রীয় জাগপা’র সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, ‘পঞ্চগড় নিয়ে আমার বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল। আমি দলের ও ২০দলীয় জোটের হয়ে পঞ্চগড়-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে চাই। আমি দুটি আসনেই কাজ করছি। জোটের নীতিনির্ধারকরা আমাকে যে আসন থেকেই মনোনয়ন দেবেন আমি সেখানেই নির্বাচন করতে প্রস্তুত। আমার মনোনয়ন নিশ্চিত হলে আশা করি আমার ব্যক্তিগত যোগ্যতা, বাবার জনপ্রিয়তা ও রিজার্ভ ভোট পুঁজি করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবো। নির্বাচিত হলে পঞ্চগড়কে নিয়ে আমার বাবার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করবো।
জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল খালেক বলেন, জোটগত নির্বাচন হলে আমি ধানের শীষ প্রতীক চাইবো। না দিলে বিকল্প চিন্তাভাবনা করবো। রাজনীতি করলে মামলা থাকবেই। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছি।
জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বললে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার নির্বাচন করবেন। অন্যথায় উত্তরসূরি হিসেবে তার ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির প্রার্থী হবেন। জমিরউদ্দিন সরকার কিছুদিন আগে ৫১টি কর্মিসভা করেছেন। তিনি আবারো আসবেন। এ ছাড়া, অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইউনিয়ন পর্যায়ে দলের কাজ করছে।
আগামীকাল: মৌলভীবাজার-১