পটুয়াখালীতে অপহরণের এক মাস ৭ দিন পর ১২ বছরের কিশোরী সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ। ১৩ই অক্টোবর সকাল ১০টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান। পুলিশ সুপার জানান, পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার চাঁদপুরা গ্রামের সাইদুল হাওলাদার কর্তৃক দশমিনা থানায় জিডি সূত্রে পুলিশ দ্রুত অনুসন্ধান করে জানতে পারে যে, ৮ই সেপ্টেম্বর কিশোরী অপহরণের পর নাম-ঠিকানাবিহীন হারুন নামের এক লোককে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে হারুন ৮ মাস আগে চাঁদপুরা এলাকায় এসে তাবিজ-কবজ এবং কুফুরি কালাম দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে এবং অভিযোগকারীর অমতে অভিযোগকারীর শ্যালিকা শাহানাজকে কৌশলে বিবাহ করে। বিবাহের পর হারুন তার ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শাহানাজকে ঢাকায় রেখে আসে। পুলিশ কিশোরী আয়েশাকে উদ্ধার করতে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। ভিকটিমের পিতা সাইদুল হাওলাদার তার মেয়ের কোনো খোঁজ না পেয়ে ২৯শে সেপ্টেম্বর দশমিনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার ঘটনার পর পুলিশ সুপারের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় পুলিশের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে গত ১১ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঢাকার মুগদা এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে কিশোরী আয়েশাকে উদ্ধার করে এবং হারুনকে আটক করে। আটক হারুন পুলিশকে জানায়, বিবাহে সাইদুল হাওলাদার রাজি না হওয়ায় প্রতিশোধ হিসেবে তাকে দেখিয়ে দেয়ার জন্য এবং অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে সেবা শুশ্রূষা করার জন্য ফুসলিয়ে ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনার দিন আয়েশাকে ঢাকায় নিয়ে যাই। হারুনকে আটকের সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ তাবিজ, কবজ ও তাবিজ তৈরির বিভিন্ন উপাদান উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দশমিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন হালদারের মাধ্যমে হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান।