× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আজ পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৪ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো পদ্মা সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি এবং এর রেল   পৃষ্ঠা ৫ কলাম ৪
সংযোগের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করতে আজ রোববার পদ্মা সেতু এলাকায় যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে গতকাল বাসস এই তথ্য জানিয়েছে। বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহু প্রতীক্ষিত মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করতে আজ মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় যাবেন। পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী “পদ্মা সেতু রেলসংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের” আওতায় ঢাকার সঙ্গে যশোরের রেল লিংক রোডের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টার দিকে প্রথমে মাওয়ায় কাজের অগ্রগতি দেখবেন। এরপর ঢাকা-মাওয়া ও পাচ্চর-ভাঙ্গা এন ৮ মহাসড়কের কাজের অগ্রগতি দেখবেন এবং মাওয়া সাইডে রেললাইন লিংকের কাজের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী এরপর স্থায়ী নদী শাসন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। মাওয়া দিকের সেতুর সামগ্রিক কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন।


প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে মাওয়া গোল চত্বরে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী জাজিরা পয়েন্টে সেতুর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিবচরে যাবেন এবং ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কাঠালবাড়ি ফেরিঘাটে জনসমাবেশে ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিদর্শন উপলক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার জাজিরার নাওডোবা এলাকা পরিদর্শন করেন। ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শনিবার পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে আসার কথা ছিল। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার কারণে তা পরিবর্তন করে রোববার পরিদর্শনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর উভয় পাশে ৬০ ভাগ কাজের অগ্রগতির ফলক উন্মোচন করবেন। তিনি বলেন, জাজিরা পয়েন্টে ৫টি এবং মাওয়া পয়েন্টে ১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। আরো ৫টি স্প্যান বসানোর কাজ চলছে।

রেল মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে বাসস জানায়, পদ্মা ব্রিজ রেল লিংক কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট’-এর প্রথম পর্যায়ের কাজ জাজিরা ও শিবচর হয়ে মাওয়া ও ভাঙ্গার মধ্যে রেলসংযোগ স্থাপন করবে। আর পদ্মা বহুমুখী সেতুর মাধ্যমে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও যশোরের মধ্যে বৃহত্তর সংযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। চীন সরকার মনোনীত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লি. চীন জিটুজি পদ্ধতির আওতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ ব্যাপারে চীন এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ২৬৬৭ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ২৩ কিলোমিটার এলিভেটেড সেতুপথ নির্মিত হবে।

এই সেতুপথে একাধিক লিফটসহ দুটি প্ল্যাটফরম, একটি মেইন লাইন ও দুটি লুপ লাইন নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ২০১৫ সালের ১২ই ডিসেম্বর শরীয়তপুরের জাজিরা ও মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় মূল সেতু নির্মাণ ও রিভার ট্রেইনিং কাজের উদ্বোধন করেন। সরকার ৩০ হাজার কোটি টাকার নিজস্ব তহবিলে দেশের সর্ববৃহৎ ‘পদ্মা সেতু’ নির্মাণ করছে। মূল সেতু, নদী শাসন, দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণসহ ৫ ভাগে সম্পন্ন হচ্ছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। এই সেতুতে থাকবে মোট ৪২টি পিলার। এগুলোর প্রতিটি ৬টি পাইলের ওপর দণ্ডায়মান থাকবে। পিলারগুলোর উপরে বসানো হবে ইস্পাতের স্প্যান। সেতুতে মোট ৪১টি স্প্যান বসবে। মূল সেতু নির্মাণ করছে চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। নদী শাসন কাজে নিয়োগ করা হয়েছে চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশনকে এবং দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লি.। এই সেতুর নির্মাণকাজ তদারক করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বুয়েট ও কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন অ্যান্ড এসোসিয়েটস। এই সেতু নির্মাণের ফলে দেশের বাণিজ্য, উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর