× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উত্তরায় গ্যাসলাইন লিকেজে দগ্ধ ৮, নিহত ১ /মর্মান্তিক

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৪ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার

গ্যাসলাইন লিকেজ হয়ে একই পরিবারের ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে আজিজুল (৩০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। তার শরীরের ৯৯ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। বাকিদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর উত্তরখানের ব্যাপারীপাড়ার হেলাল মার্কেট এলাকার পাশে একটি তিন তলা বাড়িতে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, আগুনের উৎপত্তিস্থল এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দগ্ধরা বলছেন, গ্যাসলাইন লিকেজ হয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।
তবে ধারণা করা হচ্ছে রাতে গ্যাস না থাকায় অসাবধানতাবশত গ্যাসের চুলা বন্ধ করা হয়নি। গ্যাস আসার পর পুরো ঘরে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। আর পরে একটু আগুনের স্পর্শ পেয়েই ঘটনা ঘটে।

আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায়। ওই বাড়িতে সাবলেটে তিনটি পরিবার থাকতেন। স্থানীয় একটি পোষাক কারখানায় তারা চাকরি করতেন। ঢাকা  মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের মধ্যে সাগরের (২২) ৬৬ শতাংশ, ডাবলুর (৩৩) ৬৫ শতাংশ, সুফিয়ার (৫০) ৯৯ শতাংশ, মুসলিমার (৪০) ৯৮ শতাংশ, পূর্ণিমার (৩৫) ৮০ শতাংশ, আবদুল্লাহর (৫) ১২ শতাংশ ও আঞ্জুর (২৫) ৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। সবারই শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানান, সবার অবস্থাই খারাপ। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, ব্যাপারীপাড়ার তিনতলা বাড়ির নিচতলায় শনিবার ভোরে রান্নাঘরের গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। চুলার গ্যাসলাইনে লিকেজ থাকায় সকালে চুলা জ্বালাতে গেলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। পরে আগুন দ্রুত নিচতলার বাসায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উত্তরা থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণ পর্যন্ত ওই বাড়ির ৮ জন বাসিন্দা দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর