× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ পরীক্ষা করে দেখা হবে’

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
১৪ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার

ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে উত্থাপিত যৌন হয়রানির অভিযোগ পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র সভাপতি অমিত শাহ। কয়েকদিন ধরে যৌন হয়রানি বিরোধী মি-টু আন্দোলনে ভারত জেরবার। এতে উঠে এসেছে এম জে আকবরের নামও। এ বিষয়ে অমিত শাহ বলেছেন, এসব অভিযোগ সত্য নাকি মিথ্যা তা আমাদেরকে যাচাই করে দেখতে হবে। এমন অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে পোস্ট দেয়া হয়েছে এবং যিনি পোস্ট দিয়েছেন তার বস্তুনিষ্ঠতা আমাদেরকে যাচাই করে দেখতে হবে। অমিত শাহ জোর দিয়ে বলেন, অবশ্যই আমরা এ ইস্যুটিতে দৃষ্টি দেবো। সম্প্রতি ভারতে যৌন হয়রানি বিরোধী মি-টু আন্দোলন ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকজন নারী সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন তাদের সঙ্গে এম জে আকবর (ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা টেলিগ্রাফের সাবেক সম্পাদক) অশোভন আচরণ করেছেন।
এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থায় সম্পাদক থাকা অবস্থায় তিনি এমন আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তারপর অমিত শাহেরও এই মন্তব্য বলে দিচ্ছে যে, ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এ বিতর্ককে গুরুতর হিসেবে নিচ্ছে। যদিও অমিত শাহ বলছেন, সামাজিক মিডিয়া হতে পারে যাচাই বাছাই ছাড়া অভিযোগ প্রকাশের প্ল্যাটফরম, তবুও আকবরের বিষয়ে তার মন্তব্য একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিজেপি’র শীর্ষ স্থানীয়দের ওপর। এমন অভিযোগের ফলে সরকারে এম জে আকবরের অব্যাহতভাবে দায়িত্ব পালন করাও হয়ে উঠেছে সমস্যাবহুল। শুক্রবার নতুন করে একটি অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ে এম জে আকবরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌন হয়রানির বিষয়ে অব্যাহতভাবে আলোচনায় যে উত্তাপ সৃষ্টি হয় তা বিজেপি’র গায়েও লেগেছে। এ ঘটনায় নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভেতরেই সৃষ্টি হয়েছে অস্বস্তি। এরই মধ্যে অনেকে এম জে আকবরের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তার মধ্যে রয়েছেন সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ক জুনিয়র মন্ত্রী রামদাস আথাভেলে। তিনি সরাসরি বলেছেন, যদি এম জে আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য হয় তাহলে তার উচিত পদত্যাগ করা। তবে আকবরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বক্তব্য কি তা শোনা প্রয়োজন। যেসব অভিযোগ উঠেছে তা গুরুতর। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে বিজেপিকেই। ওদিকে বর্তমানে আফ্রিকা সফরে রয়েছেন এম জে আকবর। তার আজ রোববার দেশে ফিরে আসার কথা। এরপরই দলের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে অভিযোগের জবাব দিতে পারেন তিনি। তারপরই সোমবার তিনি এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিতে পারেন। এম জে আকবরের বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযোগ উত্থাপন করেছেন সাংবাদিক মাজলি ডে পুই কাম্প। তিনি বলেছেন, তার বয়স যখন ১৮ বছর তখন ২০০৭ সালে তিনি এশিয়ান এইজ পত্রিকায় ইন্টার্ন করছিলেন। হাফিংটন পোস্ট ইন্ডিয়াকে তিনি বলেছেন, ওই সময়ে এম জে আকবর তার সীমা অতিক্রম করেছেন। ‘আমার আস্থার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আমার পিতামাতার আস্থার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।’ ওই সাংবাদিক তার পিতামাতার মাধ্যমে আকবরের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। তার পিতামাতাও ১৯৯০-এর দশকে দিল্লিতে পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর