× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৪ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার

যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তাল বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ‘মি টু’র কারণে তারকাদের বিভিন্ন সময়ের কলঙ্ক উঠে আসছে আলোচনায়। এর জেরে ইতোমধ্যে বেশ বিপাকে পড়েছেন অর্জুনা রানাতুঙ্গা, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লাসিথ মালিঙ্গার মতো তারকা খেলোয়াড়রা। এবার এই তালিকায় যোগ হলো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরির নাম। বিসিসিআইয়ের এই কর্মকর্তার কাছে হেনস্তার শিকার হওয়া ওই নারী অবশ্য নিজের পরিচয় প্রকাশ করেননি। ই-মেইল করে ভারতের এক নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মীর কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এরপর সেটা স্কিনশট আকারে প্রকাশ করেন ভারতের ওই নারী কর্মী। সেখানে লেখা ছিল, রাহুল আমার সাবেক সহকর্মী।
এ সময় সে আমার সঙ্গে সব সময় সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করতো। প্রায় নিয়মিত আমার খোঁজখবর নিত এবং মাঝেমধ্যে আমাকে কফি খাওয়ার প্রস্তাব দিত। আমিও বেশ কয়েকবার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে কফি খেতে যাই তার সঙ্গে। কিন্তু সেগুলো ছিল বিরক্তিকর। তাকে না বলা যেত না। কারণ সে নাছোড়বান্দা স্বভাবের ছিল। এমনকি আমি বিরক্তবোধ করছি, তাও বলা যেত না। আমি ভাবতাম, ঠিক আছে। সে আমার পুরনো সহকর্মী। কাজের কিছু আলোচনার বাইরে আমাদের একে অন্যকে বলারও তেমন কিছু থাকতো না। একদিন সন্ধ্যায় সে আমাকে কফি খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। এর আগে আমি অনেকবার তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি। এজন্য সেদিন ভাবলাম, আমার তাকে হ্যাঁ বলা উচিত। কিছুদিন আগেই অন্য একটা টেলিভিশন চ্যানেলে ভারতের বিপণন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে সে। আমারও তখন আরেকটা চাকরির দরকার ছিল। তাই ভাবলাম, এটা নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলা যাবে। ওই দিন ছিল শুক্রবার, বিকেল ৫টা নাগাদ। শীতকাল ছিল, আমি জিন্স ও জ্যাকেট পরে বের হয়েছিলাম। সেদিন আমাকে বেশ কয়েকটি চাকরির প্রস্তাব দেয় সে। কিন্তু হঠাৎ করেই তার বাসায় যাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বসে। এর আগে তার স্ত্রী সীমার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তখন আমি তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে আমার বাসায় নৈশভোজের নিমন্ত্রণ করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে তার বাসায় যেতে বলার প্রস্তাবে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। তবে আমি ভাবলাম, সে আমার বন্ধু। সে তার গাড়িতে করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছিল আমাকে। আমি জানতাম, তার স্ত্রী বাসায়। কিন্তু সে চাবি বের করে দরজা খুলছিল। আমি তার স্ত্রীর সম্পর্কে জানতে চাইলাম। জিজ্ঞেস করলাম সে বাসায় আছে কি না! সে বলল, হয়তো বাইরে কোথাও গেছে। রুমের ভেতরে অন্ধকার ছিল। আমি তৃষ্ণার্ত ছিলাম। এটা তাকে বলার পরও সে তাতে কান দেয়নি, বরং চেয়ারের উপর আরাম করে বসেছিল। উল্টো সে নানা বিষয়ে কথা বলে যাচ্ছিল। সে জানায়, তার সহকারী চাকরি ছেড়ে দিয়েছে এবং তার জায়গায় আমি চাইলে যোগ দিতে পারি। কথা বলতে বলতে সে আমার সামনে দাঁড়িয়ে তার প্যান্ট খুলে ফেলল। আমি কিছু একটা হাতে নিচ্ছিলাম তাকে ছুড়ে মারার জন্য। কিন্তু সে আমার হাত থেকে সেটা কেড়ে নেয় এবং আমার হাত ধরে ফেলে। একটা বিকট হাসি দিয়ে সে জানায়, এটাই ইন্টারভিউর শেষ ধাপ। এরপর সে আমাকে বিছানায় নিয়ে যায়। কিন্তু সেই মুহূর্তে রিয়েক্ট করার মতো কোনো সুযোগ ছিল না আমার। আমি এখনো সেই ভয়ংকর রাতটাকে মনে করতে পারি না। সেই অভিজ্ঞতা আমাকে এখনো কাঁপিয়ে দেয়। আমি এক বছর পর্যন্ত তা ভুলতে পারিনি। আমি শুধু ভেবেছি, আমি কাকে বলব? কে বিশ্বাস করবে, আমার কথা। আমি নিজেকে বুঝিয়েছি, এটা শুধুই নিজের কাছে রাখতে হবে। এখন আমি একটা পথ পেয়েছি। একজন হলেও শুনবে আমার কথা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর