× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু আজ

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৫ অক্টোবর ২০১৮, সোমবার

শুরু হলো শারদীয় দুর্গোৎসব। হিন্দু সমপ্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আজ ষষ্ঠীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো যা চলবে পাঁচ দিনব্যাপী। গতকাল বোধন শেষে ষষ্ঠী তিথির সূচনা হয়েছে। আজ কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহীত পূজা হবে। সায়ংকালে অর্থাৎ সন্ধ্যায় হবে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। আজ থেকেই পূজামণ্ডপগুলো ঢাকের বোল, মন্ত্র ও চণ্ডীপাঠ, কাঁসর ঘণ্টা, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনিতে কেঁপে উঠবে। পুরোহিত ও পূজারীর কণ্ঠে উচ্চারিত হবে সেই মধুর মন্ত্রপাঠ- ‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরুপেণ সংস্থিতা, নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নম নম’। সন্ধ্যায় বাজবে ঢাক, ঢোল আর কাঁসর।
আগামীকাল হবে মহাসপ্তমী। এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে বইতে শুরু করেছে আনন্দের বন্যা। পাঁচ দিন উৎসব-আনন্দে মেতে উঠবে শিশু-কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষ। বাহারি পোশাক আর অঙ্গসজ্জায় নিজেদের সাজিয়ে রাঙিয়ে তারা মন্দিরে মণ্ডপে ভিড় করবে। চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা।

বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের দেয়া তথ্যমতে এবার সারা দেশে ৩১ হাজার ২৭২টি স্থায়ী-অস্থায়ী মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজধানীতে পূজা হচ্ছে ২৩৪টি পূজামণ্ডপে। দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশের পূজামণ্ডপগুলোকে সাজানো হয়েছে রঙিন সাজে। এই উৎসবকে রঙিন করতে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ও নানা আয়োজন। এ উপলক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী চলবে ভক্তিমূলক গান, আরতিসহ নানা বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠানমালার। সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে দশম দিন অবধি পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বাণী দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকাল থেকে রাত অবধি প্রতিটি মণ্ডপে মন্ত্র ও চণ্ডীপাঠ, পূজা অর্চনা ও প্রসাদ বিতরণ চলে। বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে আজ ষষ্ঠী পূজা শেষে ২৯শে আশ্বিন (১৬ই অক্টোবর) মঙ্গলবার মহাসপ্তমী, ৩০শে আশ্বিন (১৭ই অক্টোবর) মহাষ্টমী, ৩১শে আশ্বিন (১৮ই অক্টোবর) মহানবমী, ১লা কার্তিক (১৯শে অক্টোবর) বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে। কাল মহাসপ্তমীর প্রভাতে নবপত্রিকা প্রবেশ ও ঢাক-ঢোলক-কাঁসর বাজিয়ে কলাবউ স্নান ও আদরিণী উমার সপরিবারে তিথিবিহীত পূজা শেষে সপ্তমীবিহীত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আর ১৭ই অক্টোবর মহা অষ্টমীর দিন সকালে দুর্গোৎসবের অন্যতম আকর্ষণ কুমারীপূজা ও রাতে সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মণ্ডপে পূজার পাশাপাশি পাঁচ দিনব্যাপী ভক্তিমূলক সংগীতানুষ্ঠান, বস্ত্র বিতরণ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান ও বিজয়া শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও ঢাকায় রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ পূজামণ্ডপ, গুলশান, বনানী সার্বজনীন পূজা পরিষদ মণ্ডপ, রমনা কালীমন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রমসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে মহাসমারোহে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ হিন্দু সমপ্রদায়সহ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিককে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ইতিমধ্যে সারা দেশের মণ্ডপগুলোতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ ও ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ। দুর্গোৎসবে নিরাপত্তায় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের পাশাপাশি পূজা আয়োজকদের স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর