× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যৌন হয়রানি নিয়ে মুখ খুললেন এম জে আকবর, মিডিয়ায় পদত্যাগের খবর

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
১৫ অক্টোবর ২০১৮, সোমবার

ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যেসব নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন তিনি। এসব অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। ওদিকে ভারতীয় মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয় যে, এ অভিযোগের পর গতকাল দেশে ফিরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। নাইজেরিয়া সফর থেকে গতকাল তিনি দেশে ফিরে বিবৃতি দিলেও এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। এ খবর দিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য স্টেটসম্যান।

এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যখন যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন কয়েকজন নারী সাংবাদিক তখন তিনি নাইজেরিয়া সফরে ছিলেন। গতকাল দেশে ফিরে তিনি একটি দীর্ঘ বিবৃতি দিয়েছেন।
এতে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অসদাচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট। আমি সরকারি সফরে দেশের বাইরে থাকার কারণে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারিনি। তিনি বলেন, এসব উদ্ভট ও ভিত্তিহীন অভিযোগের বিষয়টি দেখবেন তার আইনজীবীরা। বিভিন্ন স্থানে প্রমাণ ছাড়া এসব অভিযোগ ভাইরাল হয়েছে। ঘটনা যা-ই হোক, এখন আমি দেশে ফিরেছি। আমার আইনজীবীরা এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন। তারা দেখবেন যে, আইনগতভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ পথ কি হবে। উল্লেখ্য, যে সময়ে এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এম জে আকবর।

তিনি মনে করেন এতে রাজনীতি মেশানো হয়েছে। কারণ, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তার ভাষায়, কেন জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এই ঝড় তোলা হয়েছে? এর পেছনে কি কোনো এজেন্ডা আছে? কে বিচার করবে। এই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্ভট অভিযোগ আমার সুনাম ও সদিচ্ছার অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। মিথ্যার তো পা নেই। কিন্তু তাতে বিষ আছে। যা পরিণত হতে পারে মানসিক বৈকল্যের কারণ। এটা গভীর পীড়াদায়ক। আমি যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেবো। যারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তাদের নাম উল্লেখ করে এম জে আকবর বলেন, কোনো ঘটনাই নেই। কারণ, তিনি কিছুই করেননি। একটি ম্যাগাজিনে একটি লেখার মাধ্যমে এক বছর আগে এই প্রচারণা শুরু করেন প্রিয়া রামানি। আকবর বলেন, তিনি আমার নাম উল্লেখ করেননি। কারণ, তিনি জানেন এই কাহিনী ত্রুটিপূর্ণ। সম্প্রতি আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তিনি কেন আমার নাম উল্লেখ করেননি। জবাবে রামানি এক টুইটে লিখেছিলেন, তিনি কখনো তার (আমার) নাম বলেননি। কারণ, আমি কিছুই করিনি। এম জে আকবর বলেন, যদি আমি কিছু করে থাকতাম তাহলে কোথায় ও কি সেই ঘটনা। কোনো ঘটনাই তো নেই। কিন্তু আকারে ইঙ্গিতে কথা, আন্দাজনির্ভর কথা ও নির্যাতনমূলক গালিগালাজের একটি সমুদ্র তৈরি হয়েছে। যা আগে কখনো ঘটেনি। অন্যরা নিশ্চিত করেছেন, অন দ্য রেকর্ড, যে, আমি কিছুই করিনি।

নিজের আত্মপক্ষ সমর্থনে এম জে আকবর সুতপা পালকে উদ্ধৃত করেন। তার ভাষায় সুতপা পাল বলেছেন, এম জে আকবর কখনো আমার দিকে হাতও বাড়াননি। শুমা রাহার মন্তব্য, তিনি আসলে কিছুই করেননি। এম জে আকবর বলেন, অনজু ভারতী নামে একজন নারী উদ্ভট অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি একটি সুইমিং পুলে পার্টি করছিলাম। কিন্তু আমি তো সাঁতরাতে জানি না। তার সুনাম নষ্টের জন্য চেষ্টা করছেন গজলা ওয়াহাব নামে একজন বলে অভিযোগ করেন এম জে আকবর। তার ভাষায়, বার বার মিসেস গজলা ওয়াহাব নামের একজন নারী অভিযোগ করেছেন আমার সুনাম নষ্টের জন্য। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার যখন বয়স ২১ বছর তখন তাকে আমি আমার অফিসে যৌন নির্যাতন করেছি। আমি সরকারি দায়িত্বে আসার ১৬ বছর আগের কথা। তখন আমি মিডিয়ায় ছিলাম। গজলা ওয়াহাব ‘ফোর্স’ ম্যাগাজিনের নির্বাহী সম্পাদক।

তিনি এ সপ্তাহে তার ম্যাগাজিনে এম  জে আকবরের সঙ্গে তার ‘ভয়াবহ অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক একটি লেখা লিখেছেন। সাংবাদিক থেকে রাজনীতিক হয়েছেন এম জে আকবর। তিনি বলেন, তিনি যখন দ্য এশিয়ান এইজ পত্রিকার অফিসেই গজলা ওয়াহাবের সঙ্গে কাজ করেছেন। সেখানে সম্পাদকীয় বিভাগটি ছিল ক্ষুদ্র পরিসরে। সে সম্পর্কে যতদূর মনে করতে পারি তা হলো, আমার ছিল একটি ছোট্ট কুঠুরি। প্লাইউড ও কাঁচ দিয়ে তা জোড়া লাগানো ছিল। অন্যদের ছিল টেবিল ও চেয়ার। তবে তা দুই ফুট দূরে। অতটুকু স্থানে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এসব অভিযোগ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর