× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অপারেশন ছাড়াই খেলার চিন্তা /বিষণ্ন সাকিব ফিরলেন হাসি নিয়ে

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৫ অক্টোবর ২০১৮, সোমবার

আঙুল বুঝি আর ভালো হবে না! চিকিৎসা হলে ফিরবে না আগের জায়গাতে! মনে এমন দুশ্চিন্তার কালো মেঘ নিয়ে ১০ দিন আগে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। যার আগে বিষণ্ন বদনে বলে গিয়েছিলেন শঙ্কার কথা। তার সেই বক্তব্যের পর গোটা দেশকেই যেন সাকিবের দুঃখ গ্রাস করেছিল। ইনজুরি নিয়েও এশিয়া কাপ খেলার কারণেই এ অবস্থা। সাকিবের এমন অবস্থার জন্য দারুণ সমালোচনার মুখে পড়েন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবিকে নানা প্রশ্নে জর্জরিত হতে হয়। কিন্তু গতকাল সেই বিষণ্ন সাকিবই দেশে ফিরলেন হাসি নিয়ে। এসে জানালেন সু-সংবাদও।
আঙুলের ইনফেকশন এখন ভালোর পথে। এমনকি হাতে এখনই অস্ত্রোপচার করা লাগবে না। তাই তার চিন্তা এখন কীভাবে অপারেশন ছাড়াই খেলা যায়। গতকাল অস্ট্রেলিয়া থেকে সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের বিমানে চেপে সকাল সাড়ে ১১টায় দেশে ফিরে মুখোমুখি হন সংবাদ মাধ্যমের। সেখানে তিনি নিজের অবস্থা নিয়ে বলেন, ‘আপডেট ভালো। ইনফেকশন আন্ডার কন্ট্রোল। বাট প্রতি সপ্তাহে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। এটা (ইনফেকশন) আবার বাড়লো বা অন্য কোনো সমস্যা হলো কিনা। তবে এখন পর্যন্ত ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণেই আছে।’
চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন থেকেই বলে আসছিলেন সাকিব আল হাসানের হাতে অস্ত্রোপচার লাগবেই। সেটি তিনি চাইলে যে কোনো সময় করাতে পারেন। সাকিবও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফিরে চেয়েছিলেন এশিয়া কাপে না খেলেই অপারেশনটা করিয়ে নিবেন। কিন্তু সেই সময় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুরোধ ছিল এশিয়া কাপ খেলেই অপারেশন করা। সাকিবও রাজি হয়ে যান। কিন্তু যা হবার তাই হয়েছে, আঘাত পাওয়া আঙুলে ব্যাকটেরিয়ার কারণে সংক্রমণ দেখা দেয়। আঙুলের ভেতরে জমতে থাকে দূষিত রক্ত। তাতেই এশিয়া কাপের শেষ দুই ম্যাচে আর খেলতে পারেননি তিনি। তড়িঘড়ি করে ফিরে আসেন দেশে। এসেই রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তার আঙুল থেকে বের করা হয় দূষিত রক্ত। দুই তিনদিন দেরি হলেই তার আঙুল আর সঠিক ভাবে কাজ করতো না বলেই জানান চিকিৎসকরা। এরপরই তাকে পাঠানো হয় অস্ট্রেলিয়াতে চিকিৎসক ডেভিড হয়ের কাছে। সেখানে চিকিৎসা শেষে তিনি ভালো সংবাদ নিয়ে দেশে ফিরে আসেন।
অন্যদিকে এখন প্রয়োজন না হলে তার হাতে আর অপারেশন লাগবে না বলেই জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎকরা। মূলত চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুসারে তিনি ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে অপারেশন করতে পারবেনও না। কেন অপারেশন করাতে পারবে না তা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘সার্জারি ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে করা যাবে না। করা যাবে না কারণ, যদি ইনফেকশন যদি বোনের ভেতরে থেকে থাকে সেটা আসলে সারার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওখানে ব্লাড যায় না। যেহেতু অ্যান্টিবায়োটিকরা ব্লাডের মাধ্যমে ছড়ায়...যেখানে ব্লাড যায় না সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক কিভাবে কাজ করবে। সো এটা সিউর হওয়ার জন্য ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে কোনো সার্জারি করা যাবে না। বাট ভালো দিক হচ্ছে সার্জারি না করেও হয়তো খেলা সম্ভব হতে পারে। এখন যেহেতু সার্জারি করার সুযোগ নেই আমি বলেন আর ফিজিওর পরামর্শে বলেন ওই দিকটা চিন্তা করা হচ্ছে যে সার্জারি বাদে কিভাবে খেলা যায়।’
সাকিব ভালো ও সুস্থ হওয়ার সংবাদ নিয়ে ফিরে আসায় বিসিবিও আছে স্বস্তিতে। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান সাকিবের ফেরা নিয়ে বলেন, এটা খুব ভালো সংবাদ। যেভাবে পত্রিকায় আসছিল যে সে অনেক দিনের জন্য খেলতে পারবে না। ওর ছয় থেকে সাত সপ্তাহ লাগবে রিকভার হতে। আমরা ফিজিও ও অন্যদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করবো, যেটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে সেটাই করবো।’ গত জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় আঙুলে আঘাত পেয়েছিলেন সাকিব। তখন সেখানে লেগেছিল ১০টি সেলাই। এরপর মাঠে ফিরলেও সেই আঘাতের কারণেই বড় ধরনের ইনজুরির মুখোমুখি হন তিনি। এখন দেখার বিষয় কতদিনে সাকিব মাঠে ফিরে আসেন। বলার অপেক্ষা রাখেনা জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে খেলতে পারছেন না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর