× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টেকনাফে সড়কে খানাখন্দ

বাংলারজমিন

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
১৬ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার

টেকনাফ পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক খানাখন্দকে ভরে গেছে। এতে গাড়ি চলাচলের বিঘ্নের পাশাপাশি জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে যাত্রী সাধারণসহ পথচারীরা। পৌর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট  প্রশাসন থাকা সত্ত্বেও এসব সড়কের এ কী হাল! ঐতিহ্যবাহী টেকনাফ উপজেলার ব্যস্ততম শহর পৌরসভার হাল চিত্র হচ্ছে কোথাও বড় বড় গর্ত, আবার কোথাও জমে থাকা পানি। সড়কের কোনো কোনো স্থানে বিশেষ করে পুরাতন বাসস্টেশন, লামার বাজার নিরিবিলি মোড়, শাপলা চত্বর, কুলাল পাড়া মোড়, লেংগুরবিল সড়কের আশেপাশে গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থানে বিভিন্ন দোকান, সিএনজি, অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসায় জনদুর্ভোগ আরো বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। ফলে প্রতিনিয়িত ছোটখাটো দুর্ঘটনা ও বাদ-প্রতিবাদ লেগেই থাকে।
তাছাড়া ফুটপাতের রাস্তাগুলো দখলে রেখেছেন ভ্রাম্যমাণ দোকানদাররা।
এসবই টেকনাফ পৌরসভার ভেতরে থাকা সড়ক ও জনপদ বিভাগের সড়কের অবস্থা। বছরের পর বছর ধরে পৌরসভার বাস টার্মিনাল হতে কুলাল পাড়া জিপ স্টেশন, উপর বাজার, লামার বাজার হয়ে গণি মার্কেটের সামনে পর্যন্ত সড়কটি ক্ষতবিক্ষত ও জরাজীর্ণ থাকায় পৌরবাসীসহ এই সড়কগুলো দিয়ে চলাচলকারীদের দুর্ভোগের সীমা নেই। সড়কগুলো পৌরসভার ভেতরে হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের হওয়ায় তারা কিছুই করতে পারছেন না। তবে পৌর শহরের এ সড়ক দিয়ে স্বাভাবিক চলাচলের উপায় নেই। এতে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীরও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সওদা করতে আসা লোকজনকে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কোন মাথা ব্যাথা নেই বলে মন্তব্য জানিয়েছেন পথচারী লোকজন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বাস স্টেশন ও টিঅ্যান্ডটি সড়কের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। অথচ সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাসপাতাল গমনেচ্ছু মুমূর্ষু রোগী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত হয়ে উঠে দুর্বিষহ। আবার সড়কের ভাঙ্গাচোরা অবস্থার কারণে যানজট নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় দেখছে না কেউ। টেকনাফ পৌর প্রকৌশলী জহির উদ্দীন জানান, পৌরসভার অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে। এদিকে সড়কও জনপদ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী কিটটি নিশান চাকমা জানান, পৌরসড়কে অভ্যন্তরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল পৌঁছানো হয়েছে। অল্পসময়ের মধ্যেই এ সড়ক সংস্কার ও মেরামতের কাজ  শুরু হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর