× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনায় ৬ মাসে ধর্ষিত ৬৭

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৬ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার

স্ত্রী সন্তানকে রেখে বিয়ে করেন গল্লামারীর কৃষ্ণনগরের রাবেয়ার স্বামী মো. শামীম। সন্তানকে মানুষ করতে জীবন সংগ্রামে নামতে হয় রাবেয়াকে। প্রথমে বাসা বাড়িতে জীবিকা নির্বাহ করতেন কিন্তু সেখানে শিকার হন বৈষম্যের। নামে মাত্র মজুরি দেয়া হতো তাকে। নানা চ্যালেঞ্জের সঙ্গে হেরে গিয়ে তিনি এখন মানুষের কাছে সন্তানদের মানুষ করতে হাত পাততে শুরু করেন। নগরীর সাতরাস্তার মোড়ে তাকে দেখা যায় বিভিন্ন হোটেল থেকে তিনি ও তার সন্তানদের জন্য খাবার সংগ্রহ করছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, জীবন সংগ্রামে না পেরে উঠে তিনি হাত পাততে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া রাবেয়ার মতোই জীবন পার করছেন গল্লামারীর নাসরিন বেগম, তেরখাদার রওশন আরাসহ আরো অনেকে।


সরকারের বিভিন্ন আইন ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির ফলে গ্রামীণ নারীদের বৈষম্যের হার পূর্বের তুলনায় কমলেও একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। তারা এখনো জীবন সংগ্রামে যুদ্ধ করে চলছে। কর্মজীবনের তাদের বৈষম্যের পাশাপাশি রয়েছে নির্যাতন, পাচার, যৌন হয়রানিসহ নানা সমস্যা।

কেএমপি সূত্রে জানা যায়, খুলনা জেলায় চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ৬৭ জন নারী ধর্ষিত হয়। তবে বাস্তব পরিসংখ্যানে এই সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে। জেলায় চলতি বছর মোট নারী পাচারের সংখ্যা ৯ জন। অপরদিকে নারী শিশু ট্রাইব্যুনালে সাড়ে চার সহস্রাধিক মামলা ঝুলন্ত থাকলেও হচ্ছে না কোনো সুরাহা।  

নারী অধিকার রক্ষার্থেই প্রতিবছর ১৫ই অক্টোবরকে বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ২০০৭ সালের ১৮ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ১৫ই অক্টোবর বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস পালনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে ২০০৮ সাল থেকে এর সদস্য দেশগুলো এ দিবসটিকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। তবে ১৯৯৫ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের চতুর্থ নারী সম্মেলনে এ দিবস পালনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১৯৯৭ সালে থেকে উইমেন ওয়ার্ল্ড সামিট ফাউন্ডেশন নামক এক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এ দিবসটি পালনের ব্যাপারে বিভিন্ন দেশে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচির বাস্তবায়ন করে। ১৯৯৮ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে এ দিবসটি পালিত হয়। জাতিসংঘের অন্য সদস্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

এ ব্যাপারে খুলনা জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস ফাতেমা জানান, নারীদের অধিকার অনেকাংশে নিশ্চিত। তিন মাস পর পর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এ প্রশিক্ষণের আওতায় উপজেলা ভিত্তিক, বিউটি পার্লার, ফুড প্রসেসিং, মোটর ড্রাইভিংসহ নানা ধরনের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেরাই দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, নারী পুরুষ সমান-অধিকার সরকারের কারণেই সম্ভব হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর