× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারায়ণগঞ্জে নিখোঁজ শিশু সাকির উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১৬ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার

নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকা থেকে গত সাড়ে ১০ মাস যাবৎ নিখোঁজ দেড় বছরের শিশু সাদমান সাকিরকে উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসী। গতকাল বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তাদের অভিযোগ, পুলিশ অপহরণকারীদের শনাক্ত করলেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। মুক্তিযুদ্ধের সরকার ক্ষমতায় থাকতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান নিখোঁজের ব্যাপারে প্রশাসন কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না। যার কারণে নিখোঁজ সাদমান সাকির সন্ধান দিতে প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বক্তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন।

তারা দ্রুত নিখোঁজ সাদমান সাকিরকে উদ্ধারের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফউদ্দিন সবুজ, নিখোঁজ সাদমান সাকির বাবা সৈয়দ ওমর খালেদ, মা হাবিবা খালেদ লিপিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
রফিউর রাব্বি বলেন, একটি দেড় বছরের শিশু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে পারে না। এটা দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক ব্যাপার। সাদমান সাকিরকে অপহরণকারীরা চিহ্নিত হওয়ার পরেও তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়নি। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে ত্বকী হত্যাকাণ্ড ছাড়া কোনো হত্যাকাণ্ডের অপরাধীরা শনাক্ত হয়নি। এর পেছনে রাজনীতি রয়েছে।

প্রশাসন সেই রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অপরাধীদের পেছনে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে আড়াল করছে। তিনি সাদমান সাকিরকে দ্রুত উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান। গত ২০১৭ সালের ১লা ডিসেম্বর দুপুরে শহরের দেওভোগ কাঠের দোতলা এলাকায় নিজ বাড়ির গেটের সামনে থেকে নিখোঁজ হয় দেড় বছরের শিশু সাদমান সাকির। ঘটনার দিন রাতে সদর মডেল থানায় প্রথমে জিডি ও একদিন পর ৩রা ডিসেম্বর এ ব্যাপারে অপহরণ মামলা করেন নিখোঁজ সাদমানের বাবা সৈয়দ ওমর খালেদ। ঘটনার ৩ মাস পর মামলাটি তদন্তের ভার দেয়া হয় পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন)। তদন্তকালীন সময়ে তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপারসহ পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাদমান সাকির জীবিত আছে বলে দাবি করে উদ্ধারের আশ্বাস দিলেও সাড়ে দশ মাসেও তারা শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারেনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর