× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঘাটাইলে প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, পুরুষশূন্য এলাকা

বাংলারজমিন

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১৬ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার

দুবাই প্রবাসী জুলহাসের স্ত্রী সাবিনা (২৬)-এর মৃত্যুরহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। এটা হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে ক্রমেই রহস্যের জট বাঁধছে। নিহতের কোনো অভিভাবক ছাড়াই রাতভর সালিশ, সকালে মিললো অর্ধ ঝুলন্ত লাশ। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হলেও মূল ঘটনা অনেকটাই রহস্যের বেড়াজালে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করার পর থেকেই পলাতক রয়েছে ঘটনার মূল নায়ক ইউপি মেম্বার চান মিয়া ও একাধিক পরকীয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হাসমত আলী। এখন এলাকা অনেকটাই পুরুষশূন্য। ঘটনাটি ঘটেছে দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের পোয়া কোলাহা (নয়াপাড়া) গ্রামে। উপজেলার দড়ি চৈথট্র গ্রামের আঃ জলিলের মেয়ে সাবিনা।
গত ৮ বছর আগে একই উপজেলার পোয়া কোলাহা গ্রামের সুলতান মাহমুদের (৭০) পুত্র জুলহাসের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পরেই প্রবাসে চলে যান তিনি। একই সঙ্গে তার অপর ৩ ভাইও প্রবাসে থাকেন। একমাত্র বৃদ্ধ বাবা ছাড়া বাড়িতে পুরুষ মানুষ আর নেই। সরজমিন নিহতের শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রবাসী জুলহাসের স্ত্রী সাবিনা ৫ বছরের শিশু কন্যা ছোঁয়া ও ২ বছরের শিশু কন্যা তোয়াকে নিয়ে আলাদা বাড়িতে বাস করতেন। প্রবাসী জুলহাসের অপর দু’ভাইয়ের বাড়ি পাশাপাশি থাকলেও তারাও প্রবাসে থাকায় বাড়িটি একেবারে জনমানবহীন। একমাত্র জুলহাসের স্ত্রী থাকতো ওই বাড়িতে। ফলে রাতের বেলায় বাড়িটিতে অনেকটা নির্জনতাই বিরাজ করতো। ঘটনার রাত ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে এগারোটা। পরকীয়া সম্পর্কে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে যান প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের ছেলে হাসমত আলী (৩৫)। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি টের পান একই গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে নাজমুল (৩৬)। হাসমতকে ঘরের ভেতর প্রবাসীর স্ত্রী’র সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি ঘরের বাইরে থেকে দরজা আটকে দিয়ে ইউপি মেম্বার চান মিয়া সহ স্থানীয়দের খবর দেন। পরে লোকজন ঘরের ভেতর ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী সাবিনা ও ঘুমে থাকা দু’শিশু সন্তান ছাড়া আর কাউকে পাননি। পরে ঘরের সিলিংয়ের উপর উঁকি দিয়ে দেখতে পান হাসমত আলী আত্মগোপন করে রয়েছে। পরে মাতব্বররা সেখান থেকে তাকে নিচে নামান। এক পর্যায়ে নাজমুলের সঙ্গে হাসমতের ধস্তাধস্তির মতো ঘটনাও ঘটে। নিহতের শ্বশুর বৃদ্ধ সুলতান মাহমুদ জানান, আমি মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ পড়ে আসছিলাম। এ সময় নাতি দুটোর কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে আমার স্ত্রী ফাতেমাকে সেখানে পাঠাই। ফাতেমা (৫৫) বলেন, আমি বাচ্চা দুটি কোলে নিলে নাতনি ছোঁয়া বলে মা’র গলা থেকে দড়ি খুলে দেও। তখন আমি গলায় দড়িতে ফাঁস দেয়া লাশটি দেখতে পাই। পরে বাচ্চা দুটিকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে এসে বিষয়টি অন্য সবাইকে জানাই। এর আগে রাতে ঘরে থাকা অবস্থায় সাবিনাকে নাকি শারীরিক ভাবে প্রহার করে হাসমত এমন কথা জানায় সাবিনার ৫ বছরের মেয়ে ছোঁয়া। নিহতের স্বামী প্রবাসী জুলহাসের সঙ্গে সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার স্ত্রী সাবিনা সম্পর্কে আমার জানা আছে। সে আত্মহত্যা করতে পারে না। আর আত্মহত্যা করলেও তার কারণ জানিয়ে চিরকুট লিখে যেত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর