× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘আইন পাস হয়ে গেছে, এখন কিছু করার নেই’

প্রথম পাতা

দীন ইসলাম
১৬ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ নিয়ে মন্ত্রিসভায় এজেন্ডা বহির্ভূত আলোচনা হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইনটি নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুমোদন হওয়া সম্প্রচার আইন নিয়ে আলোচনার আগেই আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক মন্ত্রিসভার উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি পাস করেছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারার বিষয়ে সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিক নেতাদের আপত্তি রয়েছে। এজন্য সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিক নেতারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, আমি এবং তথ্য উপদেষ্টা মিলে সাংবাদিক নেতা ও সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছি।

এ বৈঠকে তারা কিছু আপত্তির কথা জানিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক মন্ত্রী সূত্রে জানা গেছে, আইনমন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ আইন তো জাতীয় সংসদে পাস হয়ে গেছে।
এখন এ বিষয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনার কী আছে? এ সময় যুক্তরাজ্যের উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে (যুক্তরাজ্যে) এ আইন আরো কড়া। এ আইন কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য করা হয়নি। যারা সমাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কড়া অবস্থানে থাকবে। যারা সত্য অনুসন্ধানী তাদের তো কোনো সমস্যা না। যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরকার, দেশ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাদের জন্য এই আইন। এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সম্পাদক পরিষদের মানববন্ধনের বিষয়টি তুলে ধরলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন সম্পাদক তো সব সময় আমার বিরুদ্ধে লেখার জন্য প্রস্তুত থাকে। পদ্মা সেতুর অর্থায়ন যাতে না হয় সে জন্য ড. ইউনূসের সঙ্গেও তিনি বিশ্বব্যাংকে গিয়ে কথা বলেছিলেন। এসব সম্পাদক তো বিভিন্ন সময় ভুল নিউজ ছেপে সেটি তাদের নয় একটি সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার নিউজ বলে দুঃখ প্রকাশও করে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এত উদ্বেগ কেন? ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ চিন্তা থেকে বিবেচনা করলে হবে না। সমগ্র রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করতে হবে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো বাধা হবে না। এরপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলোচনা বেশিদূর এগোয়নি। এদিকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ গণমাধ্যমের জন্য করা হয়নি দাবি করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আমরা মনে করি, সম্পাদক পরিষদের তথ্যের ঘাটতি আছে। সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখন বলেছিলাম মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করবো। তবে অমুক মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আলোচনা করবো এ কথা বলিনি। মন্ত্রিপরিষদে এই আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খোলামেলা আলোচনা করেছেন।

এরপরও যদি এই আইন নিয়ে কোনো আলোচনা থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয় আলোচনা করে দেখবে। প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) খোলামেলা আলোচনা করেছেন জানিয়ে ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- এই আইন করা হয়েছে শিশুদের নিরাপত্তার জন্য, সাইবার অপরাধীদের জন্য, হ্যাকারদের জন্য, ডিজিটাল সমাজের নিরাপত্তার জন্য। কোনো অবস্থায়ই গণমাধ্যমের জন্য করা হয়নি। এই আইনের কোনো জায়গায় গণমাধ্যমের কর্মীদের কথা বলা হয়নি। এরপরও যদি এই আইন নিয়ে কোনো আলোচনা থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয় আলোচনা করে দেখবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর