যৌন হয়রানি ও হেনস্থার প্রতিবাদের হাওয়া বয়ে চলেছে বিশ্বের আনাচে-কানাচে। যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে আন্দোলনের ঝড়ে কাঁপছে ক্রীড়া জগত থেকে শুরু করে বিনোদন মহল। এমনকি বাদ যাচ্ছে না রাজনীতির ময়দানও। তবে যৌন নির্যাতনের শিকার শুধুমাত্র নারীরাই নন। এ নির্যাতনের ছোবল থেকে বাঁচতে পারেনি পুরুষরাও।
তাই এবার ‘#মি টু’ এর বিপরীতে মাঠে হাজির হয়েছে ‘#হিম টু’ আন্দোলন। ‘#হিম টু’ ট্যাগলাইনে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে এবার আন্দোলন গড়ে তুলছেন পুরুষরা।
এই আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারক হিসেবে নিয়োগের প্রসঙ্গ আসে। কিছুদিন আগেই এই পদে আসীন হন ব্রেট কাভানা।
তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত কাভানার নিয়োগ নিয়ে কম পানি ঘোলা হয়নি। কাভানার বিরুদ্ধে উঠেছিল যৌন হয়রানির অভিযোগ।
কিন্তু শেষ অবধি তা প্রমাণে ব্যর্থ হলে কাভানার অভিযোগ থেকে মুক্তি মেলে। আর সুপ্রিমকোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
ঠিক এই ঘটনার সূত্র ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয় ‘#হিম টু’ আন্দোলন।
এতোদিন নারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনা প্রকাশ করেছেন ‘#মি টু’ ট্যাগলাইন দিয়ে। আর তার বিপরীতে এবার যৌন হয়রানির মিথ্যা অভিযোগে ফেঁসে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে ‘#হিম টু’ ট্যাগলাইনে সরব হয়েছেন পুরুষেরা।
এএফপির বরাত দিয়ে জানা যায়, যেদিন কাভানি সুপ্রিমকোর্টের বিচারক হিসেবে শপথ নেন, সেদিনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন পিটার হ্যানসনের মা।
ছেলের পক্ষ নিয়ে তিনি লেখেন, ‘#মি টু’ এর জোয়ারে এখন অভিসারে যেতে ভয় পাচ্ছেন পিটার!
তিনি নিজের ছেলের সুন্দর একটা ছবি পোস্ট করে আরও লিখেন, এতে করে যৌন হয়রানির মিথ্যা অভিযোগের শিকার হওয়ার পরিমাণ বেড়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।
পোস্টে পিটারের মা সেখানে ‘#হিম টু’ ট্যাগলাইন ব্যবহার করে তার ছেলের পক্ষে সরব হন।
এমন পোস্টের পর বিষয়টি আলোড়ন সৃষ্টি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই মনে করছেন ‘#মি টু’ এর বিপরীতে শুরু হয়েছে ‘#হিম টু’ আন্দোলন।