× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রশ্নফাঁসের কথা স্বীকার করে ফল প্রকাশ, বাতিলের দাবি ছাত্র জোটের

অনলাইন

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ১৬, ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:০০ পূর্বাহ্ন

ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়ের  ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। ইউনিটটির ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে আজ সোমবার বিকাল পৌনে ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এসময় তিনি প্রশ্নফাঁসের কথা স্বীকার করলেও ভর্তি পরীক্ষা বাতিল কিংবা শুধুমাত্র পাশকৃতদের পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

এসময় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের বিষয়ে ভিসি বলেন, তদন্ত কমিটি ডিজিটাল জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে। প্রশ্নফাঁস বা ডিজিটাল জালিয়াতি যাই হোক এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াশোনার যে কোনো পর্যায়ে তাদের বিরুদ্ধে এমন প্রমাণ পেলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে তাদের ভর্তি বাতিল করা হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশ্নফাঁসের পরেও পরীক্ষা কেন বাতিল করা হবেনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক শিক্ষার্থী এর সঙ্গে জড়িত।
অল্প কয়েকজনের জন্য আমরা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে খেলা করার সুযোগ নেই।

অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হলে- যেসকল আসন শূন্য হবে সেখানে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন তিনি। পরীক্ষা শুরুর আগে হাতে লেখা ৭২টি প্রশ্ন সাংবাদিকদের হাতে আসে। পরে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়। এটিকে প্রশ্নফাঁস বলবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ভিসি বলেন, কতগুলো কাগজে প্রশ্ন হাতে লেখা ছিল। তদন্তের মাধ্যমে বের হবে যে এটা কারা করেছে এবং কখন করেছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। টানা তৃতীয় বার প্রশ্নফাঁসের ঘটনার কারণ কি এবং এক্ষেত্রে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের কোন ব্যর্থতা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে ভিসি বলেন, এরকম ঘটনা যখনি ঘটছে তখনি অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। তবে খুশির বিষয় হলো- প্রশ্নপত্র ফাঁসে জালিয়াতি চক্রকে ধরে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এটা প্রশাসনের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটে পাশের হার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। শতকরা ২৬ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছেন। যা ইতোপূর্বে প্রকাশিত অন্য ইউনিটগুলোরও প্রায় দ্বিগুণ। এদিকে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিচার এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের পদত্যাগ দাবি করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন জোটের সমন্বয়ক উম্মে হাবিবা বেনজির। পরীক্ষা বাতিলের দাবি নিয়ে টিএসসির সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী।

এদিকে 'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নেওয়ার দাবিতে আমরণ অনশন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী। আখতার হোসেন নামের ওই ছাত্র ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জিয়া হলের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভার্স্কযের পাদদেশে মঙ্গলবার সাড়ে ১২টা থেকে অনশন শুরু করেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর