নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ১৩ বছরের এক কিশোরী গণধষর্ণের শিকার হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলার গোপালদী পৌরসভার মোল্লারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ব্যপারে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও একজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। আড়াইহাজার থানার ওসি এমএ হক জানান, মোল্লারচর গ্রামের কিশোরীর মা বাজারে পিঠা বানিয়ে রাত পর্যন্ত বিক্রি করেন। আর বাবা অসুস্থ অবস্থায় বিছানায়। সোমবার তার মা কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। ওইদিন সন্ধ্যা সাতটায় পরিবারের সদস্যদের জন্য ধর্ষিতা কিশোরী চুলায় রান্না বসায়। এই সুযোগে ওই এলাকার আব্বাসের ছেলে শেখ ফরিদ (২০), নাজিমউদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২), ইব্রাহীমের ছেলে সফিকুল (২০) ও অজ্ঞাত আরও একজন মিলে কিশোরীর মুখে লুঙ্গি চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী আজিজ মাস্টারের পরিত্যক্ত বাগানের পুকুর পাড়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর তার সংজ্ঞা ফিরলে সে বাড়িতে এসে মা’কে ঘটনাটি জানালে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষিতার শঙ্কটাপন্ন অবস্থার কারণে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। অভিযোগ রয়েছে, লম্পট শেখ ফরিদের বাবা আব্বাস আলী মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সে মেয়েটিকে ভর্তি না করিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। সকালে ধর্ষিতা মেয়েটির অবস্থা আরো অবনতি হলে পুনরায় আড়াইহাজার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার আড়াইহাজার থেকে আবারো নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু টাকার অভাবে তাকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিতে পারছে না মেয়েটির মা। তিন ঘণ্টা ধরে অচেতন অবস্থায় মেয়েটি বিনা চিকিৎসায় জরুরি বিভাগে পড়ে রয়েছে। কর্তব্যরত ডাক্তার আশরাফুল আমীন জানান, আড়াইহাজার হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা নেই। থানার ওসি জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।