ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’। বুধবার তিনি ব্রেক্সিট চুক্তির রূপরেখা নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড টাস্ক সতর্ক করে বলেছেন, বৃটেন সর্বনাশা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ফলে ইইউ’র সঙ্গে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সফলতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, আয়ারল্যান্ডের সীমানা নিয়ে ইইউ ও বৃটেনের মধ্যে এখনো দৃশ্যত কোনো সমঝোতা হয়নি। এই বিষয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি চলছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডকে তাদের ‘অভিন্ন বাজারের’ মধ্যে রাখতে চায়। এর ফলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইউরোপের অন্য দেশ ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড একই রকমের সুবিধা পাবে।
কিন্তু বৃটেন ইইউ’র এ প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তেরেসা মে’ দফায় দফায় আইরিশ সীমান্ত নিয়ে কোনো ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিপরীতে ইইউ’র মধ্যস্থতাকারীরা বলেছে, বৃটেন আইরিশ সীমান্ত ইস্যুতে কোনো ছাড় না দিলে দেশটিকে চুক্তি ছাড়াই ইইউ ছাড়তে হবে। অর্থাৎ আইরিশ সীমান্তে বৃটেন ছাড় না দিলে ইইউ দেশটির সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে চলা দ্বন্দ্ব নিরসন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র হাতে খুবই কম সময় রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। সেখানেই ব্রেক্সিট চুক্তির ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। এদিকে, সোমবার বৃটিশ পার্লামেন্টে দেয়া এক জরুরি বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মে’ বলেছেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। তবে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড নিয়ে ইইউ’র প্রস্তাব কীভাবে বৃটেনের ঐক্যকে হুমকির মুখে ফেলছে তারও বিস্তারিত বিবরণ দেন তেরেসা মে’। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’। সেখানে চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনার পক্ষে মন্ত্রীদের সমর্থন টানার চেষ্টা করেন তিনি।