৩১ বছর পর স্পেনের মাটিতে জয় পেলো ইংল্যান্ড। সোমবার ইউয়েফা নেশন্স লীগে ৩-২ গোলে জেতে ইংলিশরা। গত মাসে ঘরের মাঠে স্পেনের কাছে ২-১ গোলে হার দেখে কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের দল। সর্বশেষ ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্যারি লিনেকারের চার গোলে স্পেনকে ৪-২ গেলে হারায় ইংল্যান্ড। আর ১৫ বছর পর ঘরের মাঠে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে হারলো স্পেন। ২০০৩ সালে গ্রিসের কাছে হারের পর ৩৮ ম্যাচ অপরাজিত ছিল তারা। দলের এমন জয় নিয়ে গর্ব করে ম্যাচশেষে ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বলেন, দলের এমন জয় নিয়ে গর্ব করা যায়, প্রায় তিন দশক পর স্পেনের মাটিতে জয় পেলাম। এর অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ।
ম্যাচ শুরুর আগে আমি খেলোয়াড়দের শুধু একটা কথাই বলেছি, জয়ের জন্য যেকোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে, আর তারা সেটা মাঠে প্রয়োগ করেছে। বিশ্বকাপের পর স্পেন কোচের দায়িত্ব নেন লুই এনরিকে। এরপর থেকেই খেলছে স্পেন। তার অধীনে এটাই দলের প্রথম হার। এর আগে তিন ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২-১, ক্রোয়েশিয়াকে ৬-০ এবং ওয়েলসকে ৪-১ গোলে হারায় স্পেন। তাই দলের এমন হারকে বাজে উল্লেখ করে লুই এনরিকে বলেন, প্রথমার্ধে আমরা খুবই বাজে খেলেছি। এ ম্যাচে প্রত্যেকে কোনো না কোনো ভুল করেছে। আর এ জন্যই দলের এমন হার। এদিন প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথমার্ধেই তিন গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইংল্যান্ড। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে ৩ গোল হজম করলো স্পেন। দুর্দান্ত এক আক্রমণে ১৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় অতিথিরা। মার্কাস র্যাশফোর্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে বুলেট গতির শটে গোলটি করেন রাহিম স্টারলিং। শুরু থেকে লম্বা পাসে খেলা ইংলিশদের ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটিও আসে পাল্টা-আক্রমণে। ২৯তম মিনিটে হ্যারি কেইনের বাড়ানো বল থেকে গোল করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড মার্কাস র্যাশফোর্ড। ৩৮তম মিনিটের গোলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল রাশিয়া বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা কেইনের। ডান দিক থেকে তার গোলমুখে বাড়ানো বল টোকা দিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন স্টার্লিং। দেশের পক্ষে এটা তার চতুর্থ গোল। ৫৮তম মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে লড়াইয়ে ফেরার আভাস দেয় স্পেন।
রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার মার্কো আসেনসিওর কর্নারে দারুণ হেডে গোলটি করেন আগের মিনিটেই বদলি নামা পাকো আলকাসার। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে আসেনসিওর হেড ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে ফেরে। পরের মিনিটে রিয়াল মিডফিল্ডার দানি সেবাইয়োসের ক্রসে হেড করে ব্যবধান কমান সার্জিও রামোস। তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ লীগের গ্রুপ-৪ এ শীর্ষে রয়েছে স্পেন। প্রথম জয় পাওয়া ইংল্যান্ড ৪ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। দুই ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার পয়েন্ট ১।