জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) দুই ম্যাচে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। বৃষ্টির কারণে বরিশালের বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগ (টিয়ার-১) ও কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগ ও সিলেট বিভাগের ম্যাচে (টিয়ার-২) দ্বিতীয় দিনও পরিত্যক্ত হয়। আর গতকাল তৃতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখান বোলাররা। অপর দুই ম্যাচে মোট ১৭ উইকেটের পতন ঘটে। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে খুলনা বিভাগের ৩০৪ রানের জবাবে ২০০/৪ সংগ্রহ নিয়ে দিন শেষ করে রংপুর বিভাগ। আর বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোকে ২৮৭ রানে অলআউট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তোলে চট্টগ্রাম বিভাগ।
সাজেদুলের ৬ উইকেটের কীর্তি
২৭২/৭ সংগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিং নামা খুলনা ৩২ রান যোগ করতেই অলআউট হয়। আর আগের দিনের ৪ উইকেটের সঙ্গে আরও দুই উইকেট যোগ করেন রংপুর অধিনায়ক সাজেদুল ইসলাম। ২২.১ ওভারে ৮১ রান দিয়ে ৬ উইকেটের কীর্তি গড়েন এই বাঁ-হাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড গড়া হয়নি সাজেদুলের। তার ইনিংস সেরা বোলিং ৬/৫১। খুলনার হয়ে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জিয়াউর রহমান অর্ধশতক (৫৩) করে আউট হন। প্রথম দিনে অর্ধশতক পূর্ণ করেন সৌম্য সরকার (৭৬) ও ওপেনার এনামুল হক (৫৬)। তুষার ইমরান ১২, নুরুল হাসান সোহান ১০, আফিফ হোসেন ১৫, মেহেদী হাসান ৩৭ রান করে আউট হন। নিজেদের প্রথম ইনিংসে রংপুরকে ভালো শুরু এনে দেন জাহিদ জাবেদ ও মেহেদী মারুফ। দুইজনের ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৬ রান। ব্যক্তিগত ৩০ রানে ফেরেন মেহেদী মারুফ। অর্ধশতক করে আউট হওয়ার আগে মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ রান যোগ করেন জাহিদ (৬৪)। দুইজনকেই ফেরান পেসার আল আমিন হোসেন। ২ রান যোগ হতেই দলীয় ১১৯ রানে আউট হন মাহমুদুল। এরপর ৬১ রানের জুটি গড়েন সোহ্রাওয়ার্দী শুভ ও নাঈম ইসলাম। আল আমিনের তৃতীয় শিকার নাঈম (৩০)। অপর উইকেটটি নেন বাঁহাতি স্পিনার বিশ্বনাথ হালদার। শুভ ৪৭ ও তানভীর হায়দার ৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। এখনো ১০৪ রানে পিছিয়ে রংপুর। হাতে ৬ উইকেট।
তাসামুলের লড়াই
মাত্র ২১ রানে চার উইকেট হারিয়ে তিনশ’র আগে গুটিয়ে যায় ঢাকা মেট্রোর প্রথম ইনিংস। ২৬৬/৬ সংগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে তারা। মাত্র ১০ রানের জন্য ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন জাবিদ হোসেন (৯০)। তাসকিন আহমেদ ফেরেন ব্যক্তিগত ২৯ রানে। এই দুইজনের সপ্তম উইকেট জুটিতে আসে ৬৯ রান। গতকাল দুইটি করে উইকেট নিয়ে মেট্রোর ইনিংসের সমাপ্তি টানেন তরুণ বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা ও অফস্পিনার নাঈম হাসান। আগের দিন অর্ধশতক করে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া শামসুর রহমান ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। মেট্রোর বোলিং নৈপুণ্যে চট্টগ্রামও আছে বিপদে। মিডল-অর্ডারে ৮১ রানে অপরাজিত থেকে লড়াই করেন তাসামুল হক। সঙ্গী মেহেদী হাসান রানা (১৫*)। অধিনায়ক মুমিনুল হক ৩৪ ও ইয়াসির আলী ২৯ রান করেন। তিন উইকেট নেন তাসকিন। একটি করে উইকেট পান অধিনায়ক আরাফাত সানি, শহীদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আশরাফুল।