× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ধারাবাহিক হতে চান লিটন

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার

২০১৫, জাতীয় দলে অভিষেক হয় লিটন কুমার দাসের। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফরমেন্স দিয়েই জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। অনেক সম্ভাবনা নিয়েও আসার পর তার ছিটেফোঁটাও খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। বিশেষ করে ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং-দৈন্যতা দিন দিন প্রশ্ন তৈরি করছিল তার প্রতিভা নিয়ে। আলোচনা-সমালোচনার একের পর এক তীর এমনভাবে ছুটছিল যে বিসিবিও দারুণ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে। হবেই না বা কেন, ১৭ ওয়ানডেতে ৩শ’ রান করেছেন। যেখানে তার ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৪০ রান এসেছে ইনিংসে। কিন্তু এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে বদলে গেল সব চিত্র।
নিজের ১৮তম ওয়ানডে ম্যাচে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। তা-ও ১২০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেললেন ক্রিকেটের অন্যতম শক্তি ভারতের বিপক্ষে। তবে এখনো অনেক পথ বাকি। লিটনের সামনে দেশের মাটিতে অপেক্ষা করছে জিম্বাবুয়ের চ্যালেঞ্জ। পারবেনতো ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে? জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরু হয়েছে ক্যাম্প। অন্যদিকে লিটন কুমার দাসের এখন থাকার কথা পূজার ছুটিতে। কিন্তু সেই আনন্দ বিসর্জন দিয়েই করে যাচ্ছেন কঠোর অনুশীলন। তারই এক ফাঁকে নিজের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে। সেই কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো।

প্রশ্ন: এনসিএল-এ ডাবল নাকি এশিয়া কাপে সেঞ্চুরি, কোন্‌টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
লিটন: অবশ্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সেঞ্চুরি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাও ভালো জানেন, আমি অনেক দিন ধরেই ব্যাক ফুটে ছিলাম। পারফর্ম করাটা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একই সঙ্গে এটি আমার জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি, তাই সেটি আমার জন্য বিশাল ব্যাপার।
প্রশ্ন: সামনে লক্ষ্য কি?
লিটন: হ্যাঁ, আমার মূল লক্ষ্য এটাই। আমার মনে হয় আমি যখন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলি, সেখানে কিন্তু আমার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। ওই জিনিসটাই ঘাটতি ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আমি চেষ্টা করছি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যাওয়ার।

প্রশ্ন: এশিয়া কাপের পর ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন?
লিটন: এখনও বড় প্লেয়ার হইনি। কিন্তু আমি চেষ্টা করবো, ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নিয়মিত পারফর্ম করার।
প্রশ্ন: চরমভাবে ব্যর্থতার পর এশিয়া কাপে সেঞ্চুরি কতটা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে?
লিটন: আমি বলবো না যে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস আছে। তবে আগে থেকে একটু চাপ মুক্ত অবস্থায় আছি, এটা বলতে পারেন। আর নিজের প্রতি একটু আত্মবিশ্বাস এসেছে। যখন ভালো কিছু করি তখন নিজের ভেতর এই জিনিসটা আসে।
প্রশ্ন: ভারতের বিপক্ষে সেই সেঞ্চুরি কি ক্যারিয়ার বদলে ফেলা ইনিংস?
লিটন: আমার কাছে এতটা মনে হয় না। আমার কাছে মনে হয় প্রতিদিন প্রতিটা ম্যাচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা সত্যি, একটি ম্যাচ অনেকের ক্যারিয়ারে অনেক প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু আমাকে পরের ম্যাচে আবার শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে। আমার চেষ্টা শূন্য থেকে বড় কিছু করা। ওটা নিয়ে এখন আশা করে বা চিন্তা করে কোনো লাভ নেই।
প্রশ্ন: ব্যাটিং পাওয়ারপ্লেতে সফল হওয়ার কৌশল কি?
লিটন: আমার খেলার ধরনটাই এমন। রেসিপিটা কি সেটা কিভাবে বলবো বুঝতে পারছি না। আমার ন্যাচারাল খেলার ধরনটাই এমন।

প্রশ্ন: এশিয়া কাপের আত্মবিশ্বাসেই কি দেশে ফিরে এনসিএল-এ ২শ’ রান?
লিটন: আমি ওটাই বললাম, একজন ক্রিকেটার পারফর্ম করলে মাথা থেকে সেই জিনিসটা সরে যায়। ক্রিকেট তো সম্পূর্ণ মানসিকতার খেলা। মানুষ বলে, মন যত পরিষ্কার থাকবে তত ভালো খেলবেন। যেহেতু পারফর্ম করিনি, তখন মনে নিজের সামর্থ্যে একটু প্রশ্ন থাকেই। আর পারফর্ম করার পর মানসিকভাবে একটু চাপমুক্ত হওয়া যায়। এজন্য হয়তো ভালো হয়েছে।

প্রশ্ন: তামিম দলে নেই সেখানে নিজেকে কিভাবে দেখছেন?
লিটন: আমিও যে, দলে নিয়মিত ছিলাম, তাও না। তামিম ভাই ছিল নিয়মিত। তার সঙ্গে সঙ্গে সবাই আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিল। আমি নিয়মিত হওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না। আমার সঙ্গে যে সঙ্গী হবে, সেও নতুন হবে, আমিও নতুন। হ্যাঁ, আত্মবিশ্বাসের জায়গা থেকে একটু ভালো জায়গায় আছি হয়তো। কিন্তু আমি আগেও বলেছি, প্রতিটি ম্যাচ নির্ভর করে সেই দিনের উপরে। হতে পারে পরের ম্যাচে আমি শূন্যও করতে পারি। সেই আকাশছোঁয়া আত্মবিশ্বাস নিয়ে কোনো লাভ নেই।

প্রশ্ন: পূজার ছুটিতে ক্যাম্প করার অনুভূতি?
লিটন: না, তেমন না। গত দুইবছর ধরে তো মাঠেই ছিলাম। এখন দেশে, দুই বছর দেশের বাইরে ছিলাম। এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। পেশাদার প্লেয়ারদের একটু ছাড় দিতেই হবে।
প্রশ্ন: প্রত্যাশার চাপ কতটা?
লিটন: এটা তো অবশ্যই থাকে। কিছু পেতে হলে তো কিছু দিতেও হবে। আমিও জানি যে, আমাকে রান করতে হবে। দলের সদস্যরাও চাইবে, আমি ভালো খেলেছি সেটা যেন ধরে রাখি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর