রাজশাহীতে জুয়াড়িদের দফায় দফায় চলানো হামলায় গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক আশিক ইকবাল অন্তরের (২০) অবস্থা সংকটাপন্ন। অর্থ সংকটের কারণে তার চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। জুয়াড়িদের দৌরাত্ম্যের বলি তরুণের জীবন বাঁচাতে ও দোষীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে আকুতি জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। অন্তরের পিতা গোলাম রাব্বানী ও মাতা আঞ্জু খাতুন দু’জনেই ঢাকা শহরে গার্মেন্সে ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় ছেলের জীবনশঙ্কায় বাক হারিয়ে ফেলেছেন তারা। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্তত পাঁচ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। সাংবাদিক নূরে ইসলাম মিলন মানবজমিনকে জানান, দুঃসম্পর্কের আত্মীয় (ভাতিজা) আশিক ইকবাল অন্তর গত ৬ বছর ধরে তার বাসায় থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি পত্রিকায় রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। জুয়াড়িদের হামলায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও ও গুলিতে গুরুতর আহত হয় তরুণ সাংবাদিক অন্তর।
সেদিন জরুরি ভিত্তিতে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন করা হয়। কিন্তু তলপেটে গুলি লাগায় অন্তরে পায়ুপথ ও মূত্রথলিতে ২৩টি ছিদ্র হয়েছে। প্রায় ২০ দিন হতে চলেছে। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। এই পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। পরিবারের কোনো আর্থিক সংগতি না থাকায় ব্যয় নির্বাহ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্তরের পিতা গোলাম রাব্বানী জানিয়েছেন, গত তিনদিন থেকে বাইপাস করা পায়ুপথ দিয়ে তাজা রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। গত কয়েকদিন যাবৎ তার আলট্রাসনোগ্রাফি করা হচ্ছে সেখানে ইনফেকশন ধরা পড়েছে। এ বিষয়ে ড. হান্নান বলেন, ‘গুলি খাওয়া রোগী এই ভালো এই খারাপ, এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।’ সোমবার রাত ৯.৩০ মিনিটে তার শরীর থেকে ২৫০ গ্রাম পুঁজ বের করা হয়েছে। এ অবস্থায় তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, দৈনিক উপাচার পত্রিকায় অবৈধ জুয়ার আসর নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গত ২৭শে সেপ্টেম্বর জুয়াড়িরা দফায় দফায় হামলার চালায়। ওইদিন দুপুর ১টার দিকে নগরীর রাণীবাজার মোড়ে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে সাংবাদিক অন্তর গুরুতর আহত হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ সবুজ (২৪) ও আরিফুর (২৫) নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।