× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাসাইলে এসএসসি’র নির্বাচনী প্রশ্নপত্র ফাঁস

বাংলারজমিন

বাসাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১৭ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার

বাসাইলে এসএসসির ২০১৮ সালের নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে লৌহজংগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজু জমাদার ও আব্দুর রহিম নামের এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে আরজু জমাদারকে একলাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তার সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক আব্দুর রহিমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান জরিমানার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।  
১লা অক্টোবর উপজেলায় এসএসসির নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষার প্রথমদিন বাসাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালীন ওই বিদ্যালয়ে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি শিক্ষকদের নজরে আসে। ঘটনার দিন রাতে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক সমিতির জরুরি বৈঠকে অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরজু জমাদার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, প্রতিটি বিদ্যালয় এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৃথকভাবে তৈরি করার বিভাগীয় নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু বাসাইল উপজেলা শিক্ষক সমিতি নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নগুলো সমিতির মাধ্যমেই করেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী পরীক্ষা পূর্ববর্তী সমিতির সভায় সচ্ছতার সঙ্গে প্রশ্নপত্র তৈরি এবং পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কিন্তু শিক্ষক আরজু জমাদার সমিতির সিদ্ধান্তের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষক সমিতির জরুরি সভায় আরজু জমাদারকে একলাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে সমিতির সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তার সহযোগী গৃহশিক্ষক আব্দুর রহিমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামী ২০শে অক্টোবরের মধ্যে জরিমানার টাকা না দিলে আরজু জমাদারের শিক্ষক সমিতির সদস্য পদ বাতিল করা হবে।
আভিযুুক্ত লৌহজংগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজু জমাদার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সমিতির সঙ্গে মীমাংসা হয়ে গেছে। এতে আপনাগো কী? আপনে যা লেখার লেখেন গা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল হাসান বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর