× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৯৭ উকিল আকবরের, লড়তে প্রস্তুত প্রিয়াও

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
১৭ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার

যৌন হেনস্তার অভিযোগকারী সাংবাদিক প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে মানহানির ফৌজদারি মামলা করে নিজের পক্ষে ৯৭ জন আইনজীবীকে মাঠে নামিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। এর মধ্যে ৩০ জন আইনজীবীই নারী। ওদিকে মামলা লড়তে প্রস্তুতি নিয়েছেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন তথ্য নিয়ে নিছক বদনাম ছড়ানোর জন্য প্রিয়া কুৎসা রটিয়েছেন।’ এর শাস্তি সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল হতে পারে। এর জবাবে প্রিয়া বলেছেন, লড়ার জন্য তিনি  তৈরি। সত্য এবং নিরঙ্কুশ সত্যই তার হাতিয়ার। তিনি দাবি করেছেন, আকবর মামলা ঠুকে অভিযোগকারিণীদের মুখ বন্ধ করতে চাইছেন। কিন্তু সেটা হবে না।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন আনন্দবাজার পত্রিকা। এতে আরো বলা হয়, যৌন হেনস্তার একের পর এক অভিযোগের মুখে আকবর ইস্তফা দেবেন কি না, তাই নিয়ে জল্পনা চলছিল কিছুদিন ধরে।  সোমবার দেশে ফিরেই তিনি বুঝিয়ে দেন, পদ ছাড়ার প্রশ্ন উঠছে না। বরং দীর্ঘ বিবৃতি দিয়ে তিনি প্রতিটি অভিযোগ ধরে ধরে সবক’টি মিথ্যা এবং সাজানো বলে দাবি করেন। আকবরের বিরুদ্ধে সবচেয়ে দীর্ঘ এবং বিশদ অভিযোগ যিনি এনেছিলেন সেই গাজালা ওয়াহাব প্রত্যুত্তরে অভিযোগ করেন, আকবরই মিথ্যা বলছেন অথবা বুড়ো বয়সে তার ভীমরতি ধরেছে! গাজালার আনা অভিযোগ উড়িয়ে আকবর বলেছেন, অফিসে যে কামরাটিতে তিনি বসতেন সেটি খুবই ছোট এবং অফিস হলের মধ্যে ছিল। সেখানে আপত্তিকর কিছু ঘটানো সম্ভবই নয়। গাজালা বিস্তারিতভাবে  ফের অভিযোগ তুলেছেন, আকবরের অফিস ঘরটি ছিল বিশাল এবং সম্পূর্ণভাবে শব্দ নিরোধক। এখন প্রশ্ন হলো, ভোটের মওসুমে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ এখনো আকবরের পাশে  কেন? দলের মধ্যে অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিংহের মতো নেতারা কিন্তু মনে করেন, ভোটের আগে আকবরকে রেখে  দেয়া মানে দলের ভাবমূর্তিতে ধাক্কা লাগা। আকবরের এমন কোনো গণভিত্তিও নেই যে তিনি সরে গেলে ক্ষতি হবে দলের। পাশাপাশি আরএসএস তথা সংঘ পরিবারও আকবরের বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগকে সুনজরে দেখছে না। নাগপুরের বক্তব্য, এই ধরনের অভিযোগ ওঠা ব্যক্তির সঙ্গে সংস্রব রাখা মানে সংঘের আদর্শকেই চ্যালেঞ্জ জানানো। কিন্তু এখনো অবধি আকবরের কাছ থেকে পদত্যাগপত্রটি চাননি মোদি-শাহ। কারণ, রাজনৈতিক সূত্রের মতে, মোদিরা মনে করছেন, সোস্যাল মিডিয়ার চাপে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, এই বার্তাটি যাওয়া ঠিক নয়। আকবরকে সরিয়ে দিলে অদূর ভবিষ্যতে আরো ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠবে এবং সেগুলোকেও সমধিক গুরুত্ব দেয়ার জন্য চাপ তৈরি হবে। রাফালের মতো বিষয় নিয়ে এই মুহূর্তে সরব বিরোধী দলগুলো। এক জায়গায় নতি স্বীকার করলে বৃহত্তর অস্বস্তির ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন মোদিরা। তবে বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, আজ না হোক কাল আকবরকে সরতেই হবে। কিন্তু মোদি তখনই তা করবেন, যখন তিনি নিজে তা মনে করবেন। বিজেপি’র এক শীষ পর্যায়ের নেতার মন্তব্য, এই মুহূর্তে আকবরকে সরিয়ে দিলে কার্যত মোদিকে স্বীকার করে নিতে হবে যে এই ব্যক্তিকে মন্ত্রিসভায় শামিল করে তিনি ভুল করেছিলেন। বরং এই মি-টু ঝড় কমলে মন্ত্রিসভার রদবদলের মাধ্যমে নিঃশব্দে আকবরকে সরিয়ে দেয়ার একটা পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে বিজেপি’র শীর্ষ সূত্র।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর