× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তা পরিষদ না’

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার

নির্বাচন কমিশন তো নিরাপত্তা পরিষদ না যে পাঁচজনের সম্মতি না হলে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। বিএনপির মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে মাহবুব তালুকদার নির্বাচন কমিশনে এসেছেন। গতকাল বনানীতে নির্মিত বিআরটিএ’র নতুন ভবন পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচজন স্থায়ী সদস্য আছেন তারা একমত না হলে ‘মেজর’ কোনো সিদ্ধান্ত নিরাপত্তা পরিষদ নিতে পারে না। এটা নিরাপত্তা পরিষদ না। এখানে অধিকাংশ একমত হলেই সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। আর একজন বিরোধিতা করেন, এটাও গণতন্ত্র।

এটা অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র। একজনের ভিন্নমত পোষণ করার অধিকার আছে।
সমপ্রতি নির্বাচন কমিশনের ৩৬তম কমিশন সভার এজেন্ডায় নিজের ‘ব্যক্তিগত’ পর্যালোচনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ‘অপমানিত’ হয়েছেন বলে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে তা বর্জন করেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থার সংকট তৈরি হলো কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যিনি নোট অব ডিসেন্ট দিলেন বা বেরিয়ে গেলেন তিনি সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট যে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করেছিলেন সেখানে বিএনপির মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে নির্বাচন কমিশনে এসেছেন। সেটা শুধু স্মরণ করিয়ে দিই। তার সম্পর্কে কোনো বিরূপ মন্তব্য করতে চাই না। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে বলেন, কমিশনের একজন সদস্য নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন, এটা কোনো বাধা নয়, প্রতিবন্ধকতাও না। কাজেই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি অযৌক্তিক। ড. কামাল হোসেন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনাকে হটাতে তারেক জিয়ার নেতৃত্ব মেনে নিতেও ড. কামাল হোসেনের আপত্তি আছে বলে মনে করি না। তিনি বলেন, ঐক্যটা আসলে কে চালাবে? মূল দল হচ্ছে বিএনপি।

আর বিএনপি চালায় কে? তাদের চেয়ারপারসন এখন জেলে। ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার অঙ্গুলি হেলনেই চলবে এটা। লন্ডন থেকে দলেরও নেতৃত্ব দিচ্ছে, এই জোটেরও (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) নেতৃত্বের কলকাঠি নাড়বেন তারেক রহমান । আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কামাল হোসেনের টার্গেট সম্ভবত ক্ষমতায় যাওয়া নয়, তার টার্গেট হলো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতার মঞ্চ থেকে হটানো। সেজন্য তারেক রহমানের মতো যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নেতৃত্ব মেনে নিতে তার আপত্তি আছে বলে মনে করি না। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর গণফোরাম করেছেন, সেখানে তিনি জনসম্পৃক্ততার দিক থেকে তেমন সাড়া পাননি। তিনি দেশের সিনিয়র রাজনীতিক হিসেবে হয়তো ভেবেছিলেন বেরিয়ে এলে হাজার হাজার লোক তার সঙ্গে জোট বাঁধবে, জনসম্পৃক্ত হবে। কিন্তু তিনি জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিক হিসেবে নিজের অস্তিত্ব কোনোরকমে বজায় রেখেছেন। ঐক্যফ্রন্ট গঠন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যতটুক জানি বিকল্প ধারাকে সুকৌশলে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টে বিকল্প ধারা থাকুক এটা বিএনপির জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল না। কারণ ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিএনপির আমলে প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন তাকে কিভাবে অপমান করা হয়েছিল। তার সঙ্গে একটা অস্বস্তির বিষয় বিএনপির বরাবরই ছিল।

কাজেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাই মনে করছেন বি. চৌধুরীকে যেভাবে অপমানজনক অবস্থায় বাড়িতে আমন্ত্রণ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখা হয়েছে, এরপর তিনি জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে কি করে থাকেন? ওবায়দুল কাদের বলেন, আগেও বলেছি ঐক্যের টিকে থাকার জন্য অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। শিগগিরই সংকটে পড়বে। তেলে আর পানিতে মেশানোর যে অপচেষ্টা সেটা অচিরেই ব্যর্থ হবে। বিকল্প ধারাকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্যে নেবেন কি-না? এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছু বলতে পারি না। এজন্য ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। আমাদের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে, সেখানে নির্বাচন সম্পৃক্ত সবকিছু নিয়ে আলোচনা হবে। এই জোট সমীকরণ শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বলা মুশিকল। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর আওয়ামী লীগ দুশ্চিন্তায় আছে কি-না? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা একটুও চিন্তা করি না। এনিয়ে আমাদের কোনো দুশ্চিন্তা কখনই ছিল না। এখনও নেই। কিছু কিছু দল আছে যাদের প্যাড আছে তো সিল নেই, সিল আছে তো প্যাড নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর