× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাতীয়করণকৃত কলেজে আত্তীকরণে নতুন প্রস্তাব

শেষের পাতা

নূর মোহাম্মদ
১৭ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার

কোনো ধরনের পুলিশি তদন্ত ছাড়াই আত্তীকৃত হচ্ছেন সদ্য জাতীয়করণ হওয়া সাড়ে ১৬ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী। এছাড়া জাতীয়করণ হওয়া ২৯৮টি কলেজের সব শিক্ষক-কর্মচারীর পদ একসঙ্গে সৃজন করা হবে। সদ্য জাতীয়করণকৃত প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রতা এড়িয়ে দ্রুত সরকারি সুযোগ-সুবিধা দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরেকটি সভা করে চূড়ান্ত করে জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

সরকারি চাকরিতে চূড়ান্ত নিয়োগের আগে প্রার্থীর যাবতীয় তথ্য পুলিশ, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ভেরিফিকেশন (তথ্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই) রিপোর্ট করাতে হয়। তাছাড়া প্রার্থীদের মেডিকেল টেস্টও করাতে হয়। ২০১৪ সালের ১৯শে মে একটি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিতকরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০০০-এর বিধি ৬-এ বর্ণিত বিধান মোতাবেক তাদের শারীরিক সুস্থতা ও প্রাক-চরিত্র সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সন্তোষজনক রিপোর্ট এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তীকালে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদের চাকরি (এডহক) নিয়মিত করা হবে। কিন্তু সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮তে শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
এমনকি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ বিষয়টি উত্থাপন করা হয়নি।

বৈঠক সূত্র জানায়, জাতীয়করণকৃত প্রায় ৩০০ কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরি নিয়মিতকরণ বা আত্তীকরণ প্রক্রিয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে চায় সরকার। এজন্য পুরনো পদ্ধতি থেকে সরে এসে নতুন পদ্ধতিতে সব কলেজের পদ একত্রে সৃজন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে জনপ্রশাসন, অর্থ বিভাগ ও প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠকে বসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় কম সময়ের মধ্যে সরকারিকৃত প্রত্যেক কলেজের প্যাটার্ন অনুযায়ী সব কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর পদগুলো একত্রে সৃজনের প্রস্তাব করা হয়। এ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরো বিস্তারিত আলোচনা দরকার বলে সভা থেকে মতামত এসেছে। সভা শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন বলেন, জাতীয়করণ হওয়া কলেজগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরি আত্তীকরণ করতে হলে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। এ কারণে আমরা নতুন একটি প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরু করেছি। কীভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের চাকরি নিয়মিতকরণ করা যায়- সে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এখনো আরো কয়েকটি মিটিং কল করা হবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের ব্যাপারে বলেন, বিষয়টি এখন আলোচনা হয়নি। তবে নিয়ম অনুযায়ী তা করতে হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে প্রতিটি কলেজের পদ সৃষ্টির প্রস্তাব শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আলাদাভাবে জনপ্রশাসন, অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা, বাস্তবায়ন এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় পাঠানো হয়। চারটি দপ্তরে এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে প্রায় ৭ থেকে ৮ মাস সময় লেগে যায়। এছাড়াও প্রায় ২৯৮ কলেজের পদ সৃজনের ক্ষেত্রে যদি এই একই প্রক্রিয়া
অনুসরণ করা হয় সেক্ষেত্রে এসব কলেজের পদ সৃষ্টি করতে প্রায় ৪ থেকে ৫ বছর সময় লেগে যাবে। তাই কোনো ধরনের জটিলতা না গিয়ে সরাসরি আত্তীকৃত করার প্রত্রিুয়া শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সভায় অংশ নেয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ শামছূল হুদা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের পদসৃষ্টির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাই। পাশাপাশি আমাদের শিক্ষকরাও যাতে খুব কম সময়ে হাসিমুখে তাদের পরিবারে যেতে পারে। এ কারণে সব কলেজের পদ একত্রে সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সূত্র জানায়, সরকারি কলেজ বিহীন উপজেলায় একটি করে কলেজ সরকারি করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। সে আলোকে শিক্ষ মন্ত্রণালয় সরকারি কলেজ বিহীন ৩০১টি উপজেলার একটি করে কলেজ সরকারি করার কার্যক্রম শুরু করে। গত ১২ই আগস্ট থেকে কয়েক ধাপে ২৯৮টি কলেজ সরকারি করা হয়েছে। মামলার কারণে তিনটি কলেজ জাতীয়করণ প্রক্রিয়া আটকে আছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর