× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গ্যাসের দাম বাড়েনি ভর্তুকি দেবে সরকার

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার

গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি সদস্য আবদুল আজিজ খান বলেন, এলএনজি আমদানিতে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রয়োজন হবে। যা সরকারি তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে। এই পরিমাণ ভর্তুকি দিলে এলএনজি আমদানিতে আর কোনো সমস্যা হবে না বলেও জানান কমিশনের এই সদস্য। বিইআরসি চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেন, ১৭ই মার্চ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল) কমিশনে সঞ্চালন ট্যারিফ বাড়ানোর আবেদন করে।

এরপর ২০শে মার্চ গ্যাস বিতরণ তিতাস, বাখরাবাদ, পশ্চিমাঞ্চল ও কর্ণফুলী এবং ২১শে মার্চ জালালাবাদ ও সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানি পৃথকভাবে তাদের বিতরণ চার্জসহ ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর আবেদন করে। তিনি বলেন, কমিশন আবেদনগুলো বিবেচনা করে জুনে শুনানি করে।
গ্যাসের উৎপাদন, এলএনজি আমদানি, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পরও সার্বিক দিক বিবেচনা করে ‘বিইআরসি রেগুলেটরি আইন-২০০৩ এর ধারা ২২ (খ) এবং ৩৪’-এ দেয়া ক্ষমতা বলে কমিশন ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যমান মূল্যহার পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জারি করা ২৬শে সেপ্টেম্বরের এসআরও-এর মাধ্যমে ১৮ই সেপ্টেম্বর থেকে এলএনজি আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই বিভাগের জারি করা ৩রা অক্টোবরের আলাদা দুটি এসআরও-এর মাধ্যমে ১৮ই সেপ্টেম্বর থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক এবং আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম কর ও অগ্রিম মূসক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এরই প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান গ্যাস মূল্যহার বণ্টন, বিবরণী সংশোধন করে কমিশন আদেশ জারি করার সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশন এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, নিরাপত্তা জামানত হিসেবে তিন মাসের পরিবর্তে ২ মাসের, ছয় মাসের পরিবর্তে ৪ মাসের বিলের সমপরিমাণ অর্থ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রিপেইড মিটার গ্রাহককে আর নিরাপত্তা জামানত দিতে হবে না। গ্যাসের বিলের কাগজে গ্যাসের মূল্যহার ঘনমিটারে ঘণ্টা প্রতি ও মাসিক অনুমোদিত লোড, চালনা পদ্ধতি, (দৈনিক কর্মঘণ্টা ও মাসিক কার্য দিবস), ডায়ভারসিটি ফ্যাক্টর ও সরবরাহ চাপ উল্লেখ করতে হবে। সব ধরনের গ্যাস ব্যবহারকারী সরবরাহ মাসের পরবর্তী মাসের শেষ তারিখ পর্যন্ত বিলম্ব মাশুল ছাড়া বিল পরিশোধ করতে পারবেন। এই সময়সীমার কমপক্ষে ১৫ দিন আগে গ্রাহকের কাছে বিতরণকারী কোম্পানিকে বিল পৌঁছাতে হবে। ক্যাপ্টিভ পাওয়ার ও শিল্প গ্রাহকের কো-জেনারেশন স্কিম অব্যাহতভাবে তিন মাস চালু থাকলে পরের তিন মাসের মধ্যে ওই গ্রাহকের তিন মাসের মোট বিলের (সারচার্জ বা বিলম্ব মাশুল ছাড়া) ওপর শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে ছাড় (রিবেট) দেয়া হবে। কমিশন সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের অন্য সদস্য রহমান মুরশেদ, মিজানুর রহমান ও মাহমুদ-উল হক ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর